কেন স্বস্তি পেল এফএসডিএল ও আইএসএলের তিনটি দল? জানতে পড়ুন...

নিজস্ব প্রতিনিধি : করোনা পরিস্থিতির মধ্যে জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করে চলছে আইএসএল। এই অবস্থায় বারবার কোভিড বলয় ভেঙে এএফসি কাপ খেলা সম্ভব নয়। হোম ম্যাচ খেলতে সমস্যা না হলেও একাধিকবার অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলা বেশ কঠিন। ব্যাপারটা বিজ্ঞানসম্মত'ও নয়। সেটা এএফসি'কে বোঝানোর পরেই হয়েছে সমস্যার সমাধান। এপ্রিল পর্যন্ত পিছিয়ে গেল এএফসি'র প্রতিযোগিতা। ফলে একইসঙ্গে স্বস্তি পেল এফএসডিএল ও আইএসএলে অংশ নেওয়া তিনটি দল এটিকে মোহনবাগান, বেঙ্গালুরু এফসি ও এফসি গোয়া।
এএফসি'র প্রস্তাব মত জানুয়ারি মাসে এএফসি প্রতিযোগিতা আয়োজন হওয়ার কথা ছিল। সেইজন্য ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত তৈরি করা হয়েছিল আইএসএলের সূচি। কিন্তু জৈব সুরক্ষা বলয় ভেঙে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন হওয়া নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। জানা গিয়েছে এটিকে মোহনবাগান, বেঙ্গালুরু এফসি ও এফসি গোয়া তিনটি দল তাদের হোম ভেন্যু গোয়াকে দেখাবে বলে ঠিক করে রেখেছে। ফলে হোম ম্যাচ খেলতে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলার ক্ষেত্রে বেশ সমস্যা। কারণ, অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে হলে বায়ো বাবল ভেঙে বিদেশে যেতেই হবে। বিদেশে ম্যাচ খেলে দেশে ফিরলে ফের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন পর্ব কাটিয়ে ফের বায়ো বাবলে ঢুকতে হবে। মানে টানা ১৪ দিন অনুশীলন করার কোনও সুযোগ নেই। আর এখানেই প্রবল আপত্তি জানিয়েছে তিনটি দল। ১৪ দিন অনুশীলন না করতে পারলে, সব দলের ফুটবলারদের ফিটনেসে ব্যাপক ঘাটতি হবে। তাছাড়া দলগুলো বারবার করে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে বিদেশে যাওয়ার পর আবার ফিরে এলে আইএসএল আয়োজন করাও প্রশ্নের মুখে পড়বে। ফলে এই সমস্যা মিটিয়ে ফেলার জন্যই এএফসি প্রতিযোগিতা পিছিয়ে এপ্রিল পর্যন্ত চলে গেল।
সবকিছু বিচার করে আগেই ফেডারেশনের তরফ থেকে এএফসি'কে এই বিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। এবং পরিস্থিতি বিচার করে ফেডারেশনের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে এশিয়া ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা। এবং সেটা জানার পরেই পরবর্তী ক্রীড়াসূচি নিয়ে আলোচনা শুরু করে দিয়েছে এফএসডিএল। আপাতত ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। শোনা যাচ্ছে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২১ মার্চ আইএসএলের ফাইনাল আয়োজিত হতে পারে।