ঘরের ছেলে হয়েও এই কারণে মহমেডানে ব্রাত্য হয়ে গেলেন তীর্থঙ্কর সরকার ও প্রিয়ন্ত সিং

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : বর্তমানে আইলিগের জন্য জোরদার দলগঠন করছে মহমেডান স্পোর্টিং। নয়া রাশিয়ান কোচ, নয়া বিদেশী - সব মিলিয়ে নতুন করে নিজেদের সাজিয়ে নিয়েছে মহমেডান স্পোর্টিং। কিন্তু এর মাঝেই উঠে এল প্রশ্ন, মহমেডানের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কেন ব্রাত্য হয়ে গেলেন 'ঘরের ছেলে' হিসেবে পরিচিত তীর্থঙ্কর সরকার ও প্রিয়ন্ত সিং?
জানা গিয়েছে, এখনও অবধি কোনওরকম যোগাযোগ করা হয়নি এই দুই ফুটবলারকে। আর অপেক্ষা না করে যখন তারা ক্লাবের কাছে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট চায়, তখন সঙ্গে সঙ্গে তা দিয়ে দেওয়া হয়। আর এর জেরেই উঠল প্রশ্ন, ভালো পারফর্মেন্স করা সত্ত্বেও কেন দলে জায়গা পেলেন না তীর্থঙ্কর-প্রিয়ন্ত।
অন্দরমহলের জোর খবর, এর পিছনেও রয়েছে ক্লাব রাজনীতির কালো ছায়া। ক্লাবের প্রাক্তন সচিব ওয়াসিম আক্রমের অত্যন্ত প্রিয়পাত্র ছিলেন তীর্থঙ্কর ও প্রিয়ন্ত। গত কলকাতা লিগে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিলেন অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার তীর্থঙ্কর, এদিকে আইলিগ দ্বিতীয় ডিভিশন যোগ্যতা অর্জন পর্ব ও আইলিগের মূলপর্বে বেশ ভালো পারফর্ম করেছেন তীর্থ ও প্রিয়ন্ত। কিন্তু ওয়াসিম আক্রমের ঘনিষ্ট হওয়ার জেরেই বাদ দেওয়া হয়েছে এই দুই ফুটবলারকে।
এদিকে সূত্রের খবর, দলগঠনের আলোচনার সময়ে তীর্থঙ্কর ও প্রিয়ন্তকে মহমেডানে রাখতে চেয়েছিলেন ফুটবল সচিব দীপেন্দু বিশ্বাস। কিন্তু তার এই কথাকে দুই মিনিটে নস্যাৎ করে দেন মহমেডানের কর্মকর্তারা। কোনও ভ্রুক্ষেপই করেননি এই দুই ফুটবলারকে রাখার জন্য।
আর এর জেরে কঠিন অবস্থা এই দুই ফুটবলারের। মহমেডানের ঘরের ছেলে হওয়ার দরুণ কোনও ক্লাব অফারও করেনি, কিন্তু এখন রিলিজ পাওয়ার পর কেরিয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় রয়েছে এই দুই ফুটবলার।
এক্সট্রা টাইম বাংলার সাথে ফোনালাপে তীর্থঙ্কর জানিয়েছেন যে তিনি ভালো পারফর্ম করা সত্ত্বেও কেন ক্লাব তাকে রাখেননি, সে নিয়ে এখনও দ্বিধাভক্ত। যদিও ওয়াসিম আক্রমের সাথে সম্পর্ককে এর কারণ হিসেবে দেখছেন না তীর্থ। কিন্তু এটি স্পষ্ট, আবারও সাদা-কালো শিবিরের রাজনীতির শিকার হলেন দুই তারকা ফুটবলার।