এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : ইস্টবেঙ্গল বনাম ইনভেস্টর ইস্যুতে বড়সড় ঘটনা ঘটেছে গতকাল, যেখানে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের উপর লাঠিচার্জ করেছে কলকাতা পুলিশ। আর সেই নিয়ে ফুটবল ও ক্রীড়াগত দিক থেকে বটেই, বরং রাজনৈতিক দিক থেকেও নানা বার্তা উঠে এসেছে। এই রাজনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর কাজ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক তথা দাপুটে নেতা মদন মিত্র।

তিনি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়েছেন, শ্রী সিমেন্টের হাতে ক্লাব বিক্রি করা চলবে না, এবং প্রয়োজনে নিজে সাহায্য করবেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে। সেই মত এদিন ক্লাবে এসে নিজের বিধায়ক পদের এক মাসের বেতন প্রদান করেছেন মদন মিত্র। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, ঠিক কোন দিক থেকে খেলতে চাইছেন সকলের প্রিয় মদনদা?

আদতে মদন মিত্র মোহনবাগান সমর্থক, শুধু সমর্থক বলা ভুল, আজীবন সদস্যও বটে। তার পুরো পরিবারই মোহনবাগানের সাথে যুক্ত। একটি ভাইরাল ভিডিওতে প্রকাশিত হয়, যেখানে তিনি ফোনে পার্থ বলে একজনের সাথে কথা বলার সময়ে স্বীকার করছেন যে তিনি মোহনবাগানের কার্ড হোল্ডার। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবের সদস্য হয়ে কি আদতে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কোনও ক্ষতি করতে চাইছেন মদন মিত্র? স্রেফ প্রশ্ন ও গুঞ্জন হিসেবেই রয়েছে এটি।

আরও একটি বিষয় উঠে আসছে। ভাইরাল ভিডিওতে শোনা গিয়েছে, পার্থ বলে কোনও ব্যক্তির সাথে তিনি কথা বলছেন। ধরে নেওয়া যেতে পারে, ইনি রাজ্যের বিধায়ক তথা বানিজ্য ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে কি রাজনৈতিক কোনও অভিসন্ধি রয়েছে এই সাহায্যপ্রদানে। এবং মদন মিত্র যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত কাছের একজন, ফলে উপর থেকে এটি নতুন কোনও পরিকল্পনা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর? প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে।

আর শেষে আরও একটি দিক রয়েছে। প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবে মদন মিত্রের খেলার প্রতি আগ্রহ অপরিসীম। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবেরও আজীবন সদস্যপদ রয়েছে মদন মিত্রের। যার জেরে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের মত ঐতিহ্যশালী ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানকে বাঁচাতে এমন উদ্যোগ নিলেন মদন দা? এটিও জল্পনায় রয়েছে।

ভাইরাল ভিডিওতে মদন মিত্র বারবার বলছেন, "ঐ লাইনেই খেলছি।" কোন লাইনে খেলছেন মদন মিত্র? রাজনৈতিক নাকি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী নাকি স্রেফ ফুটবল সমর্থক - জল্পনা চলছেই। সব মিলিয়ে, জল্পনা চলতেই থাকবে, প্রশ্নটি তোলা রইল আপনাদের কাছে। কোন দিক থেকে মদন মিত্র নিলেন এই কর্মসূচি? প্রশ্ন উঠছে, জল্পনা বাড়ছে।