নিজস্ব প্রতিনিধি: একজন মাকে তাঁর ছেলে ম্যাচের সেরা হওয়ার পুরষ্কার জন্মদিনের উপহার হিসাবে তুলে দিচ্ছে, সেই মায়ের কাছে এর থেকে ভালো উপহার আর কি হতে পারে! এটিকে মোহনবাগানের গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্যের ক্ষেত্রে সেটাই হলো। মঙ্গলবার একার হাতে এটিকে মোহনবাগানকে রক্ষা করেছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচের সেরা হয়েছেন তিনি। আর তাঁর পরের দিনই অরিন্দমের মায়ের জন্মদিন। ফলে চেন্নাইয়ানের বিরুদ্ধে নিজের ম্যাচের সেরার পুরষ্কার মাকে উপহার দিলেন তারকা গোলকিপার। গোয়ায় থাকায় নিজের হাতে মাকে উপহার দিতে পারেননি তাই ভিডিও কলের মাধ্যমে মায়ের জন্মদিনের কেক কাটা দেখার পাশাপাশি ম্যাচ সেরার পুরষ্কার মাকে দেন অরিন্দম। তিনি জানিয়েছেন, ‘‘আমি আমার ম্যাচের সেরার পুরষ্কার আমার মা অন্তরা ভট্টাচার্যকে উৎসর্গ করছি। বুধবার আমার মায়ের জন্মদিন। মাকে বলেছি, আমি তো বাড়িতে নেই। সেরার পুরষ্কারটা গোয়া থেকেই তোমাকে উপহার হিসাবে দিলাম। বাবা মারা যাওয়ার পর তুমিই তো আমার অনুপ্রেরণা।’’

ম্যাচ সেরা হওয়ার থেকেও দলের লিগ শীর্ষে যাওয়াটা অরিন্দমের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেকথাও জানতে ভুললেন না সবুজ মেরুনের ভরসার হাত অরিন্দম। তাঁর মতে, সেরার ব্যক্তিগত পুরষ্কারের থেকেও আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ গোল অক্ষত রাখতে পেরে ড্রেসিংরুমে ফিরতে পেরেছি বলে। চেন্নাইয়ানের বিরুদ্ধে খেলতে নামার সময় কটা গোল আটকেছি সেটা মাথায় রাখিনি। গোল আটকানোর জন্যই তো আমাকে দলে নেওয়া হয়েছে। এতে আলাদা কৃতিত্বের কিছু নেই। টিভিতে দেখলাম সাতটি গোল সেভ করেছি। তবে আমার মনে হয় হাওয়ায় ভেসে আসা গোলমুখি বলগুলো বেশি কঠিন ছিল। পাশাপাশি গোল বাঁচানো ছাড়াও রক্ষণ সংগঠিত করার কাজটিও যথেষ্ট কঠিন বলে মনে করেন অরিন্দম। একইসঙ্গে চেন্নাইয়ানের বিরুদ্ধে ড্র করলেও এটিকে মোহনবাগান খারাপ খেলেছে বলে তিনি মনে করেন না।