আত্মঘাতী গোল করলেই প্রোমোশনের সুযোগ, কিন্তু যা ঘটল তা অবাক করার মত!

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : একজন ফুটবলার তথা এক ফুটবল দলের কাছে সব থেকে যন্ত্রণার মুহুর্ত হল, যখন নিজের গোলের জালে নিজে বল জড়িয়ে দেন এবং সেই ম্যাচ হেরে যান। কিন্তু এমন এক অসহনীয় মুহুর্ত একটি ক্লাবের জন্য সাফল্য এনে দিতে পারত। একটি আত্মঘাতী গোল করলেই আসত উচ্চস্তরের লিগে যোগ্যতা অর্জন। কিন্তু তারপর যা ঘটল, তা অবাক করার মত।
আমরা কথা বলছি জার্মানির মিডল ফ্রাঙ্কোনিয়ার ডিস্ট্রিক্ট ফুটবল লিগের। এর উপরের ধাপে জায়গা করার জন্য ছিল দুটি স্থান, লড়াইয়ে তিনটি ক্লাব। যারা হল তুর্কস্পোর ন্যুর্নবার্গ, এসভি টেনেনলো এবং গোগেলসবাখ। এর মধ্যে টেনেনলো দুটি ম্যাচ জিতে প্রোমোশন আদায় করে। বাকি ছিল ন্যুনবার্গ ও গোগেলসবাখের মধ্যে একজন। গত ১৩ জুন লিগ প্রোমোশনের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল তারা।
কিন্তু সেখানে ছিল এক অদ্ভুত সমীকরণ। লিগ প্রোমোশনের জন্য গোগেলসবাখকে ২ গোলের ব্যবধানে জিততে হত। বিপরীতে ২ গোলের কম ব্যবধানে হারলেই প্রোমোশন নিশ্চিত ছিল ন্যুর্নবার্গের। তবে সেই ম্যাচের নির্ধারিত সময় শেষে ফলাফল দাঁড়ায় ১-১, অর্থাৎ ন্যুনবার্গের প্রোমোশন পাওয়ার কথা। কিন্তু লিগের নিয়ম হচ্ছে, প্রোমোশনের ম্যাচ ড্র হবে না, ফলাফল হতেই হবে। তাই খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
এই জায়গায় দাঁড়িয়ে যদি ন্যুনবার্গ একটি আত্মঘাতী গোল করত, তাহলে ম্যাচ হারলেও প্রোমোশন নিশ্চিত করতে পারত। কিন্তু সেই পথে হাঁটেনি তারা। বরং জেতার জন্যই লড়েছিল। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ের খেলায় গোগেলসবাখ আরও দুটি গোল করে খেলার স্কোর ৩-১ করে জিতে যায়। আর উপরের লিগে যোগ্যতা অর্জন করে গোগেলবাখ।
তবে আত্মঘাতী গোলের মত লজ্জার খেলায় প্রোমোশন চাননি ফুটবলাররা, সেটি জানান ন্যুনবার্গের অধিনায়ক আমিরহান কারাসলান। তিনি বলেছেন, "দলের প্রোমোশন নিশ্চিত করতে আত্মঘাতী গোল করাটা খেলোয়াড় হিসেবে আমরা করতে পারি না।" এদিকে ক্লাবের তরফ থেকে নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখা হয়েছে, "আমরা ন্যায্যতা, সম্মান ও খেলার সততার পক্ষে। কারণ, আমরা বিশ্বাস করি, ফুটবলের ভাগ্য নির্ধারিত হওয়া উচিত মাঠের খেলায়, কোনো অযৌক্তিক হিসেব–নিকেশ বা কৌশলগতভাবে বাধ্য হয়ে আত্মঘাতী গোল করার মাধ্যমে নয়।"