এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়রা সকলেই ইউরোপের ঘরোয়া লিগগুলিতেই খেলেন, এ তো জানা কথা। কিন্তু ইউরোপের ঘরোয়া লিগের মধ্যে কোনটি সেরা, এ নিয়ে তর্ক লেগে যেতেই পারে। অনেকে প্রতিযোগিতার জন্য ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগকে সেরা বলেন, আবার অনেকে রিয়াল মাদ্রিদ ও এফসি বার্সিলোনার জন্য স্প্যানিশ লা লিগাকে এগিয়ে রাখেন।

আর এই লড়াইকে অস্ত দিতে প্রতি বছর একটি বিশেষ হিসেব চালায় উয়েফা। আর এই বছর উয়েফার সেই হিসেব অনুযায়ী, ইউরোপের সেরা লিগ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ। ২০১২-১৩ মরশুম থেকে এই কৃতিত্ব অর্জনকারী লা লিগাকে টপকে এই মরশুমে সেরা হল প্রিমিয়ার লিগ।

কিন্তু এই হিসেব রাখা হয় কিভাবে? আসলে চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ইউরোপা লিগে প্রতিটি দেশের দল কেমন পারফর্ম করে, সেই অনুযায়ী কোএফিশিয়েন্ট পয়েন্ট হিসেব করে উয়েফা। প্রতিটি জয়ে একটি দল নিজের দেশের লিগকে দুই কোএফিশিয়েন্ট পয়েন্ট দেয়। এছাড়া টুর্নামেন্টের পরের ধাপে উঠলে বোনাস পয়েন্ট পাওয়া যাবে। এরপর সেই মোট স্কোরকে এই টুর্নামেন্টগুলিতে অংশগ্রহণকারী সেই দলগুলির মধ্যে ভাগ করা হবে।

কয়েক দিন আগে ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এএস রোমাকে ৬-২ গোলে হারানোর দরুণ নয় বছর পর এই তালিকার শীর্ষে পৌঁছেছে প্রিমিয়ার লিগ। এই মুহুর্তে প্রিমিয়ার লিগের কোএফিশিয়েন্ট স্কোর ৯৮.৯৯৭, যেখানে লা লিগার স্কোর ৯৭.৪২৬। এর ফলে, যদি রিয়াল মাদ্রিদ চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতে এবং ভিল্লারিয়েল ইউরোপা লিগ জেতে, তা সত্ত্বেও প্রিমিয়ার লিগের স্কোরকে টপকাতে পারবে না লা লিগা।

এই মরশুম প্রিমিয়ার লিগের ক্ষেত্রে সব থেকে সেরা বছর চলছে, যেখানে দুটি করে দল চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালে পৌঁছেছে। এমনকি, এই পয়েন্ট সিস্টেমের সর্বকালীন স্কোরও ভাঙতে পারে প্রিমিয়ার লিগ, যা ২০১৫-১৬ সালে তৈরি করেছিল লা লিগা। এই সিস্টেম মূলত ব্যবহার করা হয়, যে চারটি টিম এই তালিকার শীর্ষে থাকে, তাদের চ্যাম্পিয়নস লিগে চারটি স্থান দিয়ে দেওয়া হয়। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইতালির সিরি আ (৭৫.১৫৩), চতুর্থ স্থানে জার্মান বুন্দেশলিগা (৭৩.৫৭০) এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে ফরাসি লিগা ওয়ান (৫৬.০৮১)।