৬ জন তারকা যাদের একটি খারাপ ম্যাচের পর কেরিয়ার কার্যত শেষ হয়ে যায়

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : ২৬ মে ২০১৮ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে লরিস ক্যারিয়াস দুটি বড় ভুল করেন। এমন একটি ভুল যেটা সারা বিশ্ব দেখেছিল। তার ভুলটাই প্রতিপক্ষ দল অর্থাৎ রিয়াল মাদ্রিদকে জেতার সুযোগ করে দিয়েছিল এবং এই ম্যাচ তার কেরিয়ারকে সম্পূর্ণ নষ্ট করে দিয়েছিল। কিন্তু তিনি একা নন যিনি একটি ম্যাচে নিজের কেরিয়ারকে সম্পূর্ণ নষ্ট করে দেন।
১. লরিস ক্যারিয়াস :
১ ডিসেম্বর ২০১২ সালে তিনি ১৯ বছর বয়সে প্রথম সবচেয়ে কম বয়সী কিপার হিসেবে জার্মানিতে তার অভিষেক ম্যাচে খেলেছিলেন। ২০১৮ সালের মে মাসে সবচেয়ে বড় দুটি ভুল করেছিলেন তার জীবনের সবচেয়ে বড় গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ অর্থাৎ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে।
২. জেরম বোয়াটেং :
২০১৫ সালের ১৫ মে বোয়াটেং দেখেন তার কেরিয়ার ধ্বংস হতে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম সেমি ফাইনালে তিনি মেসির দ্বারা ভীষণভাবে অপমানিত হন, চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে মেসির পায়ে একটা সময় বল আসে এবং বোয়াটেং তার বিপক্ষে বলটি নিজের দখলে আনার জন্য লড়াই করছিলেন সেই সময় তিনি অদ্ভুতভাবে পড়ে যান।
এই পড়ে যাওয়াটাই দর্শকদের কাছে হাসির বিষয় হয়, এটা পরবর্তীতে বোয়াটেং এর অপমানের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই ঘটনা থেকে বের হতে তার কিছুটা সময় লেগেছিল ঠিকই এতে তিনি আবার তার পুরনো ফর্মে ফিরে আসেন।
৩. আসামোয়া জিয়ান :
২০১০ সালের ওয়ার্ল্ড কাপে আসামোয়া একটি সোনালী সুযোগ পান ঘানাকে সেমি ফাইনালে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য, এক্সট্রা টাইম এর শেষ মিনিটে তিনি একটি পেনাল্টি শট করার সুযোগ পান যেটায় তিনি তার দেশকে উরুগুয়ের বিরুদ্ধে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারতেন।
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তিনি শটটি বার পোস্টে মারেন এবং পেনাল্টি মিস হয়। এই ম্যাচের পর তার কেরিয়ার হতাশাজনক মোড় নেয়।
৪. জনাথান উডগেট :
জনাথান তার সময়কার সবচেয়ে ভালো ডিফেন্ডারদের মধ্যে একজন ছিলেন। কিন্তু তার দলের সাথে তার কিছু আর্থিক সমস্যার জন্য তিনি নিউক্যাসেলে যোগ দেন। একটা অদ্ভুত ঘটনা ঘটে ২০০৪ সালে যখন তাকে দেখা যায় রিয়াল মাদ্রিদে খেলতে এবং জানা যায় তিনি ২৪ মিলিয়ন এর জন্য সেখানে সাইন করেছেন।
দুর্ভাগ্যবশত কিছু চোটের জন্য তার প্রথম ম্যাচ খেলতে অনেকটা সময় লেগে যায়। কিন্তু যখন তার প্রথম ম্যাচ খেলার দিনটি আসে উডগেট তার নিজের টিম এর বিপক্ষে একটি গোল করে লাল কার্ড দেখে মাঠের বাইরে বেরিয়ে যান। যে ম্যাচটি তার কেরিয়ার শেষ করে দেয় মাদ্রিদের এর সাথে।
৫. রবার্ট গ্রিন :
২০১০ সালে ইটালিয়ান ফ্যাবিও ক্যাপেলো বুঝতে পারছিলেন না ইংল্যান্ডের হয় কোন গোলকিপারকে দিয়ে শুরু করবেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপে। কোন গোলকিপার ইফতার ইচ্ছা অনুরূপ পারফরম্যান্স করতে পারছিলেন না কিন্তু লাস্ট মিনিটে রর্বাট গ্রিন উঠে আসেন বাকিদের থেকে ভালো অপশন হিসেবে।
কিন্তু রর্বাট প্রথম ম্যাচে গোল সেভ করতে না পারায়, সে তার গোলকিপারের স্থানটি হারায় পুরো টুর্নামেন্টের জন্য এবং তার জায়গায় আসে ডেভিড জেমস।
৬. ডেভিড লুইজ :
২০১৪ সালের বিশ্বকাপের আগে পর্যন্ত ডেভিড লুইজ ছিলেন তার সময়কার বেস্ট ডিফেন্ডারদের মধ্যে একজন। বেনফিকাতে খুব ভালো পারফর্মেন্স দেওয়ার পর তিনি যোগ দেন চেলসিতে এবং সেখানে তার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
২০১৪ সালের বিশ্বকাপে জার্মানি বনাম ব্রাজিলের সেমিফাইনালে পাঁচবার চেষ্টা করেও তিনি একটিও গোল আটকাতে পারেননি এবং হাফটাইমের সময় স্কোর দাঁড়িয়েছিল ৭-১ এ। এই ঘটনা ডেভিড লুইজকে ভীষণ ভাবে আঘাত করে।