নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রথমে সঞ্জয় সেনের সহকারী তারপর হেড কোচ হিসাবে মোহনবাগানের দায়িত্বে। এই জোড়া অভিজ্ঞতা নিয়ে এবার আসন্ন আই লিগে মহামেডানের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে দলে যোগ দিলেন শঙ্করলাল চক্রবর্তী। দায়িত্ব নিয়েই শুক্রবার সকালে ক্লাব সচিব ওয়াসিম আক্রম, ফুটবল সচিব দীপেন্দু বিশ্বাস ও হেড কোচ জোসে হেভিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসলেন শঙ্করলাল। দায়িত্ব নিয়েই সাদা-কালোকে আই লিগ জেতানোর কথা জানিয়ে দিলেন তিনি। তাঁর কথায়, "ক্লাবের তরফে আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি আমার অভিজ্ঞতা দিয়ে কোচকে সহায়তা করব। কোচ খুবই ভাল মানুষ। আশাকরি ভাল কাজ হবে।" স্থানীয় কোচকে পেয়ে খুশি সাদা-কালোর হেডস্যারও। জোসে হেবিয়া জানিয়ে দিলেন, "এটা খুবই ভাল। ভারতীয় ফুটবলার এবং আই লিগ সম্পর্কে তিনি অনেক অভিজ্ঞ। সেটা আমার এবং দলের জন্য ভাল।"

এদিকে বাংলাদেশ থেকে আসা নাইজেরিয়ার স্ট্রাইকার রাফায়েল'কে সামনে রেখে দল সাজাচ্ছে সাদা-কালো ব্রিগেড। মাঝমাঠ সামলানোর জন্য জামাল ভূঁইয়া ও মহম্মদ ফাতাউ আছেন। তবে ফিলিপ আদজা'কে রাখতে চাইছে না টিম ম্যানেজমেন্ট। তাঁর বদলে চতুর্থ বিদেশি হিসেবে দলে যোগ দিতে চলেছেন ডিফেন্ডার কিংসলে। বৃহস্পতিবার শহরে পা রাখা জামাল ভূঁইয়ার তৃতীয় করোনা টেস্ট হবে সোমবার। তবে ততদিন পর্যন্ত বসে থাকতে নারাজ বাংলাদেশ অধিনায়ক। হোটেলেই ফিজিক্যাল ট্রেনিং শুরু করে দিয়েছেন তিনি।

আই লিগের মূলপর্বে যোগ্যতা অর্জনের সময় মহামেডানের কোচ ছিলেন ইয়ান ল। এরপর শিল্ডের সময় সাদা–কালো শিবিরে স্পেন থেকে কোচ করে আনা হয় হেবিয়াকে। কিন্তু শিল্ডের মধ্যেই শোনা যাচ্ছিল, কোচের দল গঠন নিয়ে খুশি হতে পারছিলেন না কর্তারা। এদিকে সারা বছরের চুক্তি। ফলে ইচ্ছে করলেই ছেড়ে দেওয়া সম্ভব নয়। তখন ঠিক হয়, এমন একজন স্থানীয় কোচকে হাবিয়ার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হবে, যাঁর যথেষ্ট কোচিং অভিজ্ঞতা রয়েছে। এরপরই শঙ্করলাল'কে নিয়োগ করলেন কর্তারা।

এই নিয়োগ নিয়ে ফুটবল সচিব দীপেন্দুর প্রতিক্রিয়া, "ভারতীয় ফুটবলারদের ভালভাবে চেনার জন্যই শঙ্করলাল'কে নেওয়া হয়েছে। উনি কোচকে সহযোগিতা করবেন। এছাড়া আমাদের দল ভাল হয়েছে, আই লিগ অনেক কঠিন প্রতিযোগিতা তাই আমাদের বুঝেশুনে এগোতে হবে।" ক্লাব সচিব ওয়াসিমের বক্তব্য, "একটা দলকে সাফল্য পেতে হলে টেকনিক্যাল টিম শক্তিশালী হওয়া দরকার। সেইজন্য শঙ্কর দা'কে নেওয়া হল। আমি ও দীপু দা জৈব বলয়ে না থাকলেও সবসময় দলের সাথে আছি।"