দলের ফুটবলারদের ডার্বি খেলার অভিজ্ঞতাই ভরসা এসসি ইস্টবেঙ্গলের

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক: বৃহস্পতিবার আইএসএল এর ইতিহাসের দ্বিতীয়বারের জন্য ডার্বিতে মুখোমুখি হচ্ছে কলকাতার দুই প্রধান। তবে নিউ নর্মাল পরিস্থিতিতে কলকাতায় ডার্বি না হওয়াতে সমর্থকদের সেই উৎস উন্মাদনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ফুটবলাররা। তবে ইস্টবেঙ্গলের বেশ কয়েক জন ফুটবলার রয়েছেন যারা ডার্বি ম্যাচের সঙ্গে বিশেষভাবে পরিচিত, ফুটবলারদের সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল টিম ম্যানেজমেন্ট।
মহম্মদ রফিক, রাজু গাইকোয়াডের মত ফুটবলাররা অতীতে ডার্বি খেলেছেন বেশ কয়েকবার। ডার্বি ম্যাচের একদিন আগে তারা তাদের সেই অভিজ্ঞতার কথাই ভাগ করে নিলেন। মহম্মদ রফিক বলছিলেন, ‘এই ম্যাচটা কোনরকম এগিয়ে বা পিছিয়ে থেকে কেউ শুরু করে না। যে দল মাঠে তাদের সেরাটা দিতে পারবে তারাই এই ম্যাচে জয় তুলে নিতে পারে। গ্যালারিতে যখন ৮০ হাজার, ৯০ হাজার দর্শক একসঙ্গে ইস্টবেঙ্গল ইস্টবেঙ্গল করে চিৎকার করে, তখন অন্য মোটিভেশন তৈরি হয় ফুটবলারদের মধ্যে। আর ইস্টবেঙ্গল সমর্থক একটা পরিবারের মত। আমি, আমার পাশের বাড়ি - সকলেই ইস্টবেঙ্গল সমর্থন, তাই এই ম্যাচটা একটা পরিবারের জন্য খেলা।’
অন্যদিকে রাজুবাই কোয়ার্ড নিজের প্রথম ডার্বির কথা ভেবে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। তার স্পষ্ট কথা, ‘আমি যখন প্রথমবার ডার্বি খেলতে এসেছিলাম আমার মনে পড়ে না আমি প্রথম একাদশে ছিলাম কিনা কিন্তু ওই পরিবেশ দেখে আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। সারাক্ষন ভাবছিলাম আমি এটা কোথায় আসলাম?’ আরেক তরুণ ফুটবলার সার্থক গোলুই সদ্য ইস্টবেঙ্গল জার্সি গায়ে চাপিয়েছেন। ফুটবলার হিসেবে তিনি ডার্বি খেলতে না পারলেও সমর্থক হিসেবে সেই ডার্বির উন্মাদনা উপভোগ করেছেন। এই ম্যাচটি জেতা-হারার উপর কত আবেগ জড়িয়ে থাকে তা ভালোভাবেই জানেন এই তরুণ ফুটবলার। তাই এবার ফুটবলার হিসেবে ম্যাচটি জিততে মরিয়া সার্থক।