১৫ সেকেন্ডের নিপুণ শিল্পেও লিগ টেবিলে উজ্জ্বল হতে পারল না ইস্টবেঙ্গল

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক: ভাগ্য সত্যিই বড়ো অসহায় এসসি ইস্টবেঙ্গলের। এদিনও তিন পয়েন্ট এলো না ফাওলারের পয়েন্ট টেবিলে। হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে ১-১ গোলে ড্র করে নবম স্থানেই রইল ইস্টবেঙ্গল।
তবে গোটা ম্যাচে লাল হলুদ ফুটবলাররা যে প্রদর্শন রাখলো, তা ডার্বির আগে আশ্বস্ত করতে পারে সমর্থকদের। ব্রাইট এনোবাখারে আর অ্যান্টনি পিল্কিংটন যেন এদিন সবুজ গালিচায় ফুল ফোটালেন। ম্যাচের প্রায় ৫৮ মিনিটে হায়দরাবাদের আক্রমণ থেকে ফিরতি বলে পিল্কিংটনের নিপুণ টাচে ব্রাইটকে বাড়ানো বল আর সেখান থেকে ক্লিনিকাল ফিনিস নাইজেরীয় ফরোয়ার্ডের। হায়দরাবাদ বক্স থেকে পিল্কিংটন হয়ে ব্রাইটের গোলটির ব্যবধান ছিল মাত্র ১৫ সেকেন্ড।
ম্যাচের শেষ কোয়ার্টারে একই রকম ভাবে আবারও এগিয়ে যান ব্রাইট। সেখানে তাঁকে বল বাড়ান আমাদি হলোওয়ে। তবে পেনাল্টি বক্সের ভেতরে হায়দরাবাদের গোলকিপার কাত্তিমানি ব্রাইটকে পায়ে ট্র্যাপ করে ফেলে দিলেও পেনাল্টি দিলেন না রেফারি। তবে প্রথমার্ধেই অবশ্য এগিয়ে যেতে পারতো এস সি ইস্টবেঙ্গল। শেষ মুহূর্তে পিল্কিংটনের দুরন্ত শট অসাধারণ দক্ষতায় বাঁচান হায়দরাবাদের গোলকিপার কাত্তিমানি। ম্যাচের ৩০ মিনিটের পর থেকে দারুণ ভাবে ম্যাচে ফেলে লাল হলুদ। সেই সঙ্গে সৌরভ দাস, অঙ্কিত মুখার্জিরা দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেন।
খারাপ রেফারিংয়ের স্বীকার হায়দরাবাদও। প্রথমার্ধে রাজু গাইকোয়াডের হাতে বল লাগে। সেটাও পেনাল্টি হয়, বঞ্চিত হয় হায়দরাবাদ। যদিও ম্যাচে নাটকীয় পরিবর্তন হয় অতিরিক্ত সময়ে। ৯২ মিনিটে আরিদানো সান্তানার গোলে সমতা ফেরায় হায়দরাবাদ। এরপর ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে মহম্মদ ইয়াসির লাল কার্ড দেখেন। ম্যাচের পর দু দলের ফুটবলারদের ও হায়দরাবাদ কোচের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করতে দেখা যায়। রেফারির বিরুদ্ধে মন্তব্য করে চার ম্যাচ নির্বাসিত হয়েছেন। সেই নির্বাসন কাটতে না কাটতেই আরও একটা খারাপ রেফারিংয়ের সাক্ষী থাকল আইএসএলের দর্শকরা।