রেফারিং নিয়ে লিখিত অভিযোগ দিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। বিদেশিদের চোট নিয়ে চিন্তায় ফাউলার। বিস্তারিত পড়ুন...

নিজস্ব প্রতিনিধি : রেফারিং নিয়ে এসসি ইস্টবেঙ্গল শিবিরে ক্ষোভ বেড়েই চলেছে। গত দুটো ম্যাচের শেষে রেফারিংয়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরণ ঘটান দলের হেড কোচ রবি ফাউলার। স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, "আমরা তো ১২ জনের বিরুদ্ধে খেলছি। একটা পেশাদার লিগে এমন রেফারিং আশা করা যায় না।" ব্যাপারটা যে বাজে জায়গায় যাচ্ছে সেটা বুঝতে পেরেছে লাল-হলুদের বিনিয়োগকারী সংস্থা। আর তাই খারাপ রেফারিংয়ের বিরুদ্ধে ফেডারেশনের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। তবে একইসঙ্গে দুই বিদেশি অ্যারণ আমাদী ও ড্যানি ফক্সের চোট নিয়েও চিন্তা বাড়ছে লাল-হলুদ শিবিরে। আগামী ম্যাচে হায়দ্রাবাদ এফসি'র বিরুদ্ধে দুই বিদেশির খেলার সম্ভাবনা প্রায় নেই।
হারের হ্যাটট্রিক করার পর শক্তিশালী জামশেদপুর এফসি'র বিরুদ্ধে ১০ জন হয়ে যাওয়ার পরেও, ম্যাচ ড্র করেছেন জ্যাক মাঘোমা-অ্যান্টনি পিলকিংটন'রা। নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে দুবার ন্যায্য পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত হয় ইস্টবেঙ্গল। এরপর জামশেদপুরের বিরুদ্ধে গত ম্যাচে ইউজেনসিং লিংডো'কে জোড়া হলুদ কার্ড (পড়ুন লাল কার্ড) দেখান রেফারি রাহুল কুমার গুপ্ত। এসসি ইস্টবেঙ্গল টিম ম্যানেজমেন্টের একজনের দাবি, "এবারের আইএসএলে রেফারিংয়ের মান খুবই খারাপ। প্রায় প্রতি ম্যাচেই রেফারি নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে। একটা কথা মনে রাখতে হবে যে দু'দলের ফুটবলারদের খেলা মানুষ দেখতে ভালবাসেন। রেফারিদের জন্য মানুষ স্টেডিয়ামে কিংবা টিভির সামনে আসেন না। তাই প্রতিযোগিতার সুনাম বজায় রাখতে হলে রেফারিংয়ের মান বাড়াতেই হবে। সেটা না হলে বিদেশিদের কাছে রোজই ভারতীয় ফুটবলের মুখ পুড়বে।"
তবে খারাপ রেফারিং নিয়ে ভয় থাকার পাশাপাশি দুই বিদেশি'র চোট নিয়ে চিন্তায় লিভারপুল লেজেন্ড। অ্যারণ আমাদী ইদানীং নিয়মিত অনুশীলন করলেও এখনও পুরো ফিট নন। শট মারার সময় টার্ন নিতে গেলে তাঁর গোড়ালিতে লাগছে। দলের অধিনায়ক ও সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার ড্যানি ফক্সের হিপ মাশলে চোট লেগেছে। প্রথমে তাঁর চোট দেখে টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করে যে অন্তত ছয় সপ্তাহ তিনি মাঠের বাইরে যেতে পারেন। অবশ্য এখন দলের মেডিক্যাল টিম মনে করে, চার সপ্তাহের মধ্যেই কামব্যাক করতে পারেন ফক্স। কিন্তু সেটাও তো অনেকটা সময়।
আর সপ্তম বিদেশি। সেটা নিয়েও একটা আপডেট পাওয়া গিয়েছে। শোনা যাচ্ছে একজন বিদেশি স্ট্রাইকার নিয়ে আসছেন রবি ফাউলার। চলতি ডিসেম্বরে তাঁকে এনে গোয়ার হোটেল হিল্টনে ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে ম্যানেজমেন্ট। যাতে সেই বিদেশি কোয়ারেন্টাইন পর্ব মিটিয়ে জানুয়ারি থেকেই মাঠে নামতে পারেন। এখন কত দ্রুত যাবতীয় সমস্যা মিটিয়ে দল ঘুরে দাঁড়াতে পারে সেটাই দেখার।