অবশেষে মোহনবাগান ছাড়ার আসল কারণ জানালেন প্রীতম কোটাল

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্কঃ নতুন মরশুমে মোহনবাগান ছেড়ে কেরালা ব্লাস্টার্সে সই করেছেন ভারতের তারকা ডিফেন্ডার প্রীতম কোটাল। মোহনবাগান ক্লাবের সুখ-দুঃখের সাথি ছিলেন তিনি, সব সময়েই বলেছেন মোহনবাগান তাঁর কাছে শুধু ফুটবল ক্লাব নয়, একটি পরিবারও। গত আইএসএলে তাঁর পেনাল্টি শট থেকেই এসেছিল আইএসএল ট্রফি, ছিলেন সবুজ মেরুন ব্রিগেডের অধিনায়ক। তবে দল বদলের বাজারে সকলকে একপ্রকার চমকে দিয়েই কেরালায় চলে যান প্রীতম। কিন্তু কেন নিজের প্রিয় ক্লাব ছাড়লেন? সেই কারণ এতোদিন ছিল অজানা। অবশেষে মোহনবাগান ছাড়ার আসল কারণ জানালেন প্রীতম কোটাল। আইএসএল এর মিডিয়া দলকে একান্ত সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন নানান অজানা কথা।
আইএসএল-এর ইউটিউব চ্যানেলে 'ইন দ্য স্ট্যান্ডস' অনুষ্ঠানে প্রীতম বলেছেন, "গত বছরটা আমাদের বেশ কঠিন গিয়েছিল। তা সত্ত্বেও আমরা চ্যাম্পিয়ন হই আর অধিনায়ক হিসেবেই এই প্রথম কোনও ট্রফি জিতি আমি, তাও মোহনবাগানের জার্সিতে। আমার কাছে এটা বিশাল প্রাপ্তি। কিন্তু হঠাৎই একটা ঘটনা ঘটে। তখন আমার মাথায় একটা জিনিসই চলছিল, এটা আমার কাছে একটা নতুন চ্যালেঞ্জ।"
আরও পড়ুন- মোহনবাগানের বিরুদ্ধে তিনজন খেপুড়ে ফুটবলার নিয়ে এএফসি খেলতে আসছে আবহনী
এর সাথে তিনি যোগ করেন, "কারণ, কলকাতায় অনেক বছর খেলা হয়ে গিয়েছে আমার। এবার একটু নতুন কিছু করা যাক, নতুন পরিবেশে, নতুন চ্যালেঞ্জ নেওয়া যাক। এ সব ভেবেই সিদ্ধান্তটা নিই। ক্লাবও আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। এটা নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করে নেওয়া সিদ্ধান্ত। এখানে এসে ভালই লাগছে। দেখা যাক, সামনে কী অপেক্ষা করে আছে।"
আরও পড়ুন- আবারও হায়দ্রাবাদ এফসির ট্রান্সফার ব্যান করল এআইএফএফ
মোহনবাগানীদের প্রিয় ফুটবলার ছিলেন প্রীতম। কেরালার মানুষদের থেকেও কী একইরকম ভালবাসা পাচ্ছেন প্রীতম? এই প্রশ্নের উত্তরে প্রীতম বলেছেন, "আমার ধারনা ছিল না যে, আমি এখানকার মলে কেনাকাটা করতে গেলে আমাকে ঘিরে এত ভিড় হয়ে যাবে। যখন আমি ওখানে ঢুকি, তখন দু-তিনজন আমাকে দেখে ছবি তুলতে এগিয়ে আসে। আমি ভেবেছিলাম ওখানেই ব্যাপারটা মিটে যাবে। কারণ, কলকাতাতেও আমি এরকমই খোলামেলা ভাবে ঘুরি, দু-তিনজন আসে, ছবি তুলে চলে যায়, ওখানেই সব মিটে যায়। কিন্তু এখানে আমি যখনই বাজারে ঢুকি এবং কোনও জিনিস তুলে দেখতে শুরু করি, তখনই দু’জন পিছন থেকে এসে বলে, ‘স্যার সেলফি!’ এবং এটা চলতেই থাকে। এটা ওদের ভালবাসা। আমারও ভাল লাগে। কিন্তু এরকম পরিস্থিতি এখানে তৈরি হবে, আমি আগে ভাবতে পারিনি। এখনও ম্যাচেই নামিনি, শুধুই এসেছি, অনুশীলন শুরু করেছি। এমনকী, ট্যাক্সি বুক করে তার মধ্যে বসলেও লোকে আমাকে অভ্যর্থনা জানায়। ওদের একটাই আবদার, বলে, ‘স্যার আমাদের কাপটা চাই’! এ বছর দলটা ভাল ভাবে তৈরি হচ্ছে এবং অনুশীলন সবে শুরু হয়েছে। আশা করি এই মরশুমে দারুণ কিছু করে দেখাতে পারব! এখানকার পরিবেশ আমার বেশ ভাল লাগছে।"