এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক: কয়েকদীন আগে চেন্নাইয়ের এফসি কলকাতারই দল এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ঠিক যেখানে শেষ করেছিল এদিন যেন সেখান থেকেই এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে শুরু করলো তারা। মঙ্গলবার গোয়ার বাম্বলিন স্টেডিয়ামে চাংটে, কৃভিলারোরা যেভাবে সবুজ মেরুন ডিফেন্সে একের পর এক আক্রমণ করে গেলেন তাতে এটিকে মোহনবাগানের দুর্ভেদ্য ডিফেন্স পরীক্ষার মুখে পড়তে হলো। এমনকি রয় কৃষ্ণা, মনভির সিংকেও ডিফেন্স করতে নামতে হলো বারবার। দ্বিতীয়ার্ধে সেন্নাইয়নের আক্রমণ আরও বাড়ায় দিশেহারা দেখাল বাগান ডিফেন্সকে। এদিন সবুজ মেরুন ডিফেন্সের ব্যর্থতা অনেকটাই ঢেকে দিন গোলরক্ষক অরিন্দম ভট্টাচার্য, ম্যাচের সেরাও হয়েছেন তিনি। তবে  শেষ মুহূর্তে গোল করে ম্যাচ বার করার স্ট্র্যাটেজি কাজে আসেনি। ফলে খেলা গোল শূন্য ড্র ভাবে শেষ হয়।

বুধবার শুরু থেকেই দু দল দুর্দান্ত লড়াই করে। ম্যাচের প্রথম ৫ মিনিট বাদ দিলে বাকি সময়টা আক্রমণ প্রতি আক্রমণে জমে উঠেছিল খেলা। তবে মাঝমাঠের দখল শুরু থেকেই ছিল সেন্নাইয়ানের দখলে। একদিকে মাইকেল সাসেইরাজ না থাকায় সবুজ মেরুনের বাঁদিকটা প্রায় অচল দেখাল। অন্যদিকে জাভি হার্নান্দেজ না থাকায় মাঝমাঠের সেই বাঁধনটাও উধাও হাবাসের দলের। এডু গার্সিয়াও এদিন দাগ কাটতে ব্যর্থ। ফলে প্রথমার্ধে বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি হলেও কাজের কাজটি হয়নি। এদিন গোলরক্ষক অরিন্দম ভট্টাচার্য অনবদ্য কিছু সেভ না করলে বিপদে পড়ত এটিকে মোহনবাগান। তবে রয় কৃষ্ণা এদিনও অনবদ্য খেললেন। যেমন দুর্গ রক্ষা করলেন তেমনই সামান্য সুযোগ গুলোকেও কাজে লাগানোর মরিয়া চেষ্টা করলেন। এটিকে মোহনবাগান অধিকাংশ ম্যাচে শেষ ১৫ মিনিটে রয় কৃষ্ণা গোল করে ম্যাচ বার করেছেন।এদিন চেন্নাইয়ানের আক্রমণ সামলাতে ব্যস্ত কৃষ্ণা কাজের কাজটি করে উঠতে পারেননি।

আর এটিকে মোহনবাগানের মাঝমাঠ ও ডিফেন্সের ঘাটতিকে কাজে লাগিয়ে অধিকাংশ সময় চেন্নাই আক্রমণ সানিয়ে গেল। রিগান সিং, কৃভিলার, সিলভেস্টাররা একের পর এক সুযোগ তৈরি করে গেলেন। তবে ম্যাচের রং কিছুটা বদলায় ৬৮ মিনিটে। যখন প্রণয় হালদার চেন্নাইয়ের কৃভিলারকে ট্রাকেল করলে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লে চেন্নাইয়ের দলটির আক্রমণ কিছুটা ভোঁতা হয়। অন্যদিকে, একই সময়ে হাবাস প্রবীর দাস ও জয়েস রানেকে নামালে বাগানের আক্রণের ধার অনেকটা বাড়ে। তবে এদিন চেন্নাইয়ের ডিফেন্ডার ক্লিপোভিচ দুরন্ত পারফরম্যান্স করেন।