এমবাপের আগুনে বিধ্বস্ত ক্যাম্প নৌ

ফেব্রুয়ারি ১৭: চোটের জন্য বাইরে দলের সেরা অস্ত্র নেইমার , বিপক্ষে মেসি , শেষ বার এখানে হারতে হয়েছিল আধ ডজন গোল খেয়ে , তাতে কী? যাবতীয় প্রতিকূলতাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপে ঘোষণা করে দিলেন মেসি- রোনাল্ডোদের পরবর্তী প্রজন্মের নায়ক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম তিনি । বার্সার ঘরের মাঠে দুরন্ত হ্যাট্রিক করে শেষ ষোলোর প্রথম রাউন্ডে পিএসজিকে অনেকটাই এগিয়ে দিলেন তিনি ।
এদিন অবশ্য খেলা শুরুর ২৭ মিনিটের মাথার বিতর্কিত পেনাল্টি থেকে বার্সাকে এগিয়ে দেন মেসি । কিন্তু ব্যাস , ঐটুকুই । বাকি ম্যাচে দূরবীন দিয়ে খুঁজতে হল বার্সার স্বপ্নের নায়ককে । শেষ কয়েক বছর এমনিতেও ইউরোপীয় প্রতিযোগিতার আসরে বার্সার অবস্থা তথৈবচ । দেশীয় ক্লাব গুলির বিপক্ষে উজ্জ্বল হলেও চ্যাম্পিয়নস লীগে পড়তে হচ্ছে লজ্জার মুখে । এদিনও যেন তারই পুনরাবৃত্তি ।
মেসির গোলের পাঁচ মিনিটের মধ্যে বার্সা বক্সে পিকেদের নাচিয়ে প্রথম গোলটি করেন এমবাপে। গ্রিজম্যানের দৌঁড়ে বার্সার জন্য সুযোগ এলেও সেই সুযোগ তারা কাজে লাগাতে পারেনি ।
দ্বিতীয়ার্ধ পুরোপুরি পিএসজির । ৬৫ মিনিটে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল করে পিএসজিকে এগিয়ে দেন এমবাপে । ৭০ মিনিটে সেট পিসে মাথা ছুঁইয়ে ৩-১ করেন কিন । ৮৫ মিনিটে দ্রুতগতির প্রতি আক্রমণে বিশ্বমানের কোনাকুনি শটে নিজের হ্যাট্রিক সম্পূর্ণ করেন এমবাপে । ১৯৯৭-এ শেভচেঙ্কোর পর এই প্রথম ক্যাম্প নৌতে হ্যাটট্রিক করলেন কোনও বিপক্ষের খেলোয়াড় । তবে চার বার পরাজিত হলেও বার্সার হয়ে বেশ কয়েকটি নিশ্চিত গোল বাঁচান স্টেগান , নয়তো বাড়তে পারত মেসিদের লজ্জা ।
ফিরতি লেগে এমনিতেই লড়াই কঠিন , তার ওপর যুক্ত হয়েছে আওয়ে গোলের অঙ্ক । পিএসজির বিপক্ষে আধ ডজন গোল করে ম্যাচে ফিরেছিল বার্সা , কিন্তু সেই জয়ের গৌরবে কাঁটা ছিল রেফারির অসংখ্য বিতর্কিত সিদ্ধান্ত । এখন ভারের যুগে মেসিরা আরও একবার অসাধ্য সাধন করতে পারেন কি না সেটাই এখন দেখার ।