প্রেম দিবসে কৃষ্ণার গোল আর অরিন্দমের হাতে বাগানে বসন্ত

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক: রবিবারের ম্যাচটা মোহনবাগানকে জিততে হত কার্যত দুটো কারণে। প্রথমত, এই ম্যাচটি জিতে শীর্ষে ওঠার সুযোগ ছিল। আর দ্বিতীয়, ডার্বির আগে এই ম্যাচটা জিতে মনোবল বাড়িয়ে নেওয়া। গুরুত্বপূর্ণ এমন ম্যাচে সবুজ মেরুন সমর্থকদের ভরসা দিলেন সেই দু'জন, রয় কৃষ্ণা ও অরিন্দম ভট্টাচার্য। একদিকে রয় কৃষ্ণা যেমন ৮৫ মিনিটে গোল করে মোহনবাগানকে জয়ের পথ দেখালেন। তেমনি অরিন্দম ভট্টাচার্যের নির্ভরযোগ্য হাতে একের পর এক শট বাঁচিয়ে মোহনবাগানের দুর্গ রক্ষা করল। ফলস্বরূপ জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ১-০ গোলে জিতে ডার্বির আগে লিগ শীর্ষে চলে গেল এটিকে মোহনবাগান।
ম্যাচের শুরু থেকেই দু'দলই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেললেও কোন দলই গোল মুখ খুলতে পারেনি। মনবীর সিং, রয় কৃষ্ণাকে রেখেই আক্রমণাত্মক দল সাজিয়েছিলেন হাবাস। কিন্তু গোলটি কিছুতেই আসছিল না। একদিকে যখন রয় কৃষ্ণা কিছুতেই গোল পাচ্ছেন না আর অন্যদিকে অরিন্দম একের পর এক জামশেদপুরের আক্রমণ রুখে দিচ্ছেন সেই সময়ে তিনটি বদল করে মাস্টার স্ট্রোক দেন হাবাস। আর তাতেই দীর্ঘদিন পর কৃষ্ণা-উইলিয়াম যুগলবন্দী দেখলো মোহনবাগান জনতা। ডেভিড উইলিয়াম এর বাড়ানো বল থেকেই গোল করে যান রয় কৃষ্ণা।
রয় কৃষ্ণার পাশাপাশি প্রেম দিবসে মোহনবাগান জনতার ভালবাসার দাবি রাখে অরিন্দম ভট্টাচার্যও। তার অনবদ্য কয়েকটি সেভের জন্য এদিনও ক্লিনচিট রাখতে সক্ষম হল এটিকে মোহনবাগান। আর সেই কারণেই নতুন বছরে প্রথমবারের জন্য মুম্বাই সিটি এফসিকে টপকে শীর্ষে চলে গেল তারা। দিনটি প্রেম দিবস অভায় ফুটবলারদের পরিবারের সদস্যদের ফ্যান ওয়ালে হাজির করেছিল আইএসএল কর্তৃপক্ষ। গোল করার পর নিজের পরিবারের সদস্যদের সবুজ-মেরুন জার্সি পড়ে উৎস থেকে কার্যত উচ্ছসিত এদিনের স্কোরার, ম্যাচের পর নিজের উচ্ছ্বাস গোপন করেননি ফিজির এই তারকা।