প্রতিপক্ষদের সমীহ করলেও এএফসি কাপে নিজেদের সেরা বলেই মনে করছেন বৌমোস-কাউকো

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : আর কয়েক দিন বাদেই আবারও লড়াইয়ে নামতে হবে এটিকে মোহনবাগান। এএফসি কাপের প্রাক-পর্বে দুর্দান্ত পারফর্মেন্স করার পর এবার গ্রুপ স্টেজের মূলপর্বে ভালো পারফর্ম করতে মরিয়া সবুজ-মেরুণ ব্রিগেড।
তবে প্রতিপক্ষরা খুব কঠিন! একদিকে রয়েছে গোকুলাম কেরালা এফসি, অন্যদিকে রয়েছে বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংস ও মলদ্বীপের মাজিয়া। তবে লড়াইয়ে নামার আগে কতটা আশাবাদী দল? এই নিয়ে এটিকে মোহনবাগান মিডিয়াকে জানালেন দলের দুই তারকা বিদেশী হুগো বৌমোস ও জনি কাউকো।
হুগো মনে করেন, প্রতিযোগিতার সেরা দল তারাই। এই নিয়ে তারকা মিডিও বলেছেন, "এই গ্রুপে ধারে-ভারে এবং পারফর্মেন্সের ভিত্তিতে আমরাই প্রতিযোগিতার সেরা দল। বড় কোনও অঘটন না ঘটলে আমরাই চ্যাম্পিয়ন হব। এবার প্রস্তুতি গতবারের তুলনায় ভাল হয়েছে। প্রাক পর্বে দুটি ম্যাচে আমরা আট গোল করে জিতেছি। ফলে চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলে সেটা নিয়ে কোনও অজুহাতই গ্রহণযোগ্য হবে না।"
তবে প্রতিপক্ষের শক্তিও জানেন তিনি। প্রতিপক্ষদের নিয়ে হুগো বলেছেন, "যে তিনটি দলের সঙ্গে খেলা তাদের খেলার কিছু ভিডিও ক্লিপিং দেখেছি। আমার মতে সব থেকে শক্তিশালী বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংস, খুব ব্যালান্সড। এরপর গোকুলামকে রাখব। আইলিগে গতবার এবং এবার দারুণ খেলছে তারা। কিন্তু আমাদের দলের যা শক্তি তাতে গোকুলাম শুধু নয়, তিনটি দলকে হারানো সম্ভব।"
এদিকে ইউরো কাপ খেলা জনি কাউকো মনে করেন, প্রতিপক্ষ নিয়ে বেশি ভাবাই উচিত নয়। এই নিয়ে কাউকো বলেছেন, "আমি ইউরো কাপ খেলার আগেও প্রতিপক্ষকে নিয়ে ভাবিনি, বিপক্ষের খেলাও দেখিনি। এএফসিতে যাদের সঙ্গে খেলতে নামব তাদের কোনও ম্যাচই দেখিনি। আমার মনে হয়, প্রতিপক্ষকে বেশি দেখলে মনের মধ্যে বাড়তি চাপ তৈরি হয়। নিজের স্বাভাবিক খেলার ছন্দ নষ্ট হয়। এমনিতে তো ম্যাচের তিন দিন আগে থেকেই কোচ প্রতিপক্ষের শক্তি বা দূর্বলতা নিয়ে আমাদের ভিডিও পর্যালোচনা করে সতর্ক করেন, সে সময়ে বুঝে নেব।"
এদিকে জনি মনে করেন, গোটা দল তো ছন্দে রয়েইছে, পাশাপাশি নিজেও যথেষ্ট ভালো ফর্মে রয়েছেন। এই নিয়ে কাউকোর বার্তা, "আমরা খেলার মধ্যেই আছি। প্রাক পর্বের দুটি ম্যাচ জিতেছি। প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের জাতীয় দলকে হারিয়েছি। ফলে পুরো টিম ছন্দে রয়েছে। বিকেল সাড়ে চারটেয় দুটি ম্যাচ হলেও আমার অন্তত সমস্যা নেই। কারণ প্রায় এক বছর ভারতে থাকার সুবাদে আবহাওয়ার সঙ্গেও মানিয়ে নিয়েছি। কোচ আমাকে একটু ডিফেন্সিভ মিডিও হিসেবে খেলাচ্ছেন, সেখান থেকেও গোল করেছি। যদিও গোলটা বড় কথা নয় নয়, মূল লক্ষ্য হল দলের জয়।"