কেমন আছেন মোহনবাগানের তারকা উইঙ্গার আশিক কুরুনিয়ন?

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : এই মুহুর্তে দুরন্ত ছন্দে রয়েছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। কিন্তু তাদের এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় এখনও লড়াই করছেন চোট সারানোর। তিনি হলেন আশিক কুরুনিয়ন। ২৬ বছর বয়সী এই উইঙ্গার গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে দেশের হয়ে কিংস কাপ খেলতে গিয়ে এসিএল চোট পান। যার পর থেকে মাঠের বাইরে রয়েছেন তিনি।
সেই চোট পাওয়ার পরেই বুঝে গিয়েছিলেন, পুরো মরশুমের জন্য খেলতে পারবেন না। আর তার পর থেকে সেরে ওঠার লড়াই সারছেন আশিক। সুস্থ হওয়ার সাথে সাথে নিজের খেলার উন্নতিরও পথ খুঁজছেন আশিক। সম্প্রতি চেন্নাইয়ে একটি ইভেন্টে গিয়েছিলেন আশিক, সেখানে এক সর্বভারতীয় ক্রীড়া মিডিয়ার সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে নিজের রিকভারির কথা জানালেন আশিক।
আশিক বলেছেন, "আমি সুস্থ হয়ে উঠছি এবং আরও দুই মাস লাগবে মাঠে নামতে। তবে এই মুহুর্তে কোনও নির্দিষ্ট টাইমলাইন নেই। শুরুতে, এই চোটটা খুব কঠিন ছিল আমার জন্য। আমি আমার সুস্থতার সময় এবং কতগুলো ম্যাচ খেলব না সেটি নিয়ে চিন্তায় ছিলাম।"
"তবে আমি বুঝলাম যে এটা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে, আমায় ফোকাস করা উচিৎ যে কীভাবে আমি সুস্থ হয়ে আট মাসের অনুপস্থিতির পর পারফর্ম করতে পারব। ফুটবলে চোট পাওয়া সাধারণ ব্যাপার, এর মধ্যে দিয়ে প্রতিটি খেলোয়াড় যায়। তবে এই সময়ে, মোহনবাগান ও জাতীয় দল আমায় অনেক সাহায্য করেছে। শেষ অবধি, এটি আমার কাছে বড়সড় শিক্ষণীয় দিক। এখন আমি খেয়াল রাখব যাতে এই ধরণের চোট না পাই।"
এদিকে এই রিকভারির সময়ে আশিক নিজের খেলার ভুলভ্রান্তিগুলি দেখেছেন এবং সেগুলিকে দূর করার উপায় খুঁজছিলেন। পাশাপাশি আশিক জানিয়েছেন যে কীভাবে ওর সতীর্থ তথা বন্ধুরা পাশে দাঁড়িয়েছে এই কঠিন সময়ে।
এই নিয়ে আশিক বলেছেন, "এই সময়ে, আমি ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে নিজের খেলাগুলি দেখছিলাম, সেখানে নিজের ভুলগুলিকে চিহ্নিত করে দেখছিলাম কোথায় উন্নতি করা যায়। আমি দেখছিলাম কীভাবে এই চোট পাওয়া থেকে এড়ানো যায় এবং আরও ফিট হওয়া যায়।"
"আমি মোহনবাগানে আমার সতীর্থদের সাথেও অনেক কথা বলেছি আর ওরা এই কঠিন সময়ে আমায় অনেক সাহায্য করেছে। ওরা সবাই আমার বন্ধু এবং প্রতিটা ম্যাচের পর ওদের সাথে আমার কথা হয়। অবশ্যই, শিল্ড পাওয়ার দৌড় এখন অনেক কঠিন হয়ে গিয়েছে, তবে দল অনেক আত্মবিশ্বাসী এবং জেতার জন্য মরিয়া।"
এদিকে এশিয়ান কাপ না খেলার আক্ষেপ ভুলতে পারছেন না আশিক। তিনি বলেছেন, "একটি জায়গায় আমার আক্ষেপ রয়েছে আর সেটি হল এশিয়ান কাপে না খেলতে পারা। তবে আমার এখন সবে ২৬ বছর বয়স এবং আমি পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী যে তিন বছরের মধ্যে আমরা পরের প্রতিযোগিতায় যোগ্যতা অর্জন করব।"
নিঃসন্দেহে আশিকের অনুপস্থিতি মোহনবাগান ও জাতীয় দলকে বড়সড় আঘাত দিয়েছে। তবে আশিক এখন সুস্থতার দিকে এগোচ্ছেন, আর বোঝাই যাচ্ছে এই কঠিন সময় থেকে অনেক কিছু শিখেছেন আশিক।