এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : আজকের দিনের ফুটবল অত্যন্ত গতিশীল ও দ্রুততার সাথে চলে। আর এই পরিস্থিতিতে শারীরিক সক্ষমতাক চুড়ান্ত পর্যায়ে রেখে খেলোয়াড়দের মাঠে নামতে হয়। কিন্তু অনেক সময়ই অস্বাভাবিক কারণে শরীরে এমন কিছু ঘটে যায়, যার জন্য সেই ফুটবলারের জীবন সংশয়ে চলে যায়।

শনিবার ইউরো কাপে ডেনমার্কের ক্রিশ্চিয়ান এরিকসন হঠাতই মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা করার জেরে কোনওরকমে বেঁচে যান এই তারকা ফুটবলার। কিন্তু এমনটাই প্রথম নয়, এর আগেও এই ধরণের ঘটনা ঘটেছে। দেখে নেওয়া যাক এমন পাঁচ ঘটনা, যেখানে খেলা চলাকালীনই মৃত্যুর সম্মুখীন কিংবা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন ফুটবলাররা।

১. জুনিয়র

ভারতীয় ফুটবলপ্রেমীরা আজও ভোলেননি এই মুহুর্তকে। ডেম্পোর হয়ে ২০০৪ সালে ফেডারেশন কাপের ফাইনালে উঠেছিলেন ব্রাজিলীয় এই ফুটবলার। সেই ম্যাচে প্রতিপক্ষ মোহনবাগান গোলকিপার সুব্রত পালের সাথে সংঘর্ষে মাঠেই অজ্ঞান হয়ে যান জুনিয়র। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। সেই সময় আজকের মত চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা ছিল না, নইলে হয়ত আজ বেঁচে থাকতেন জুনিয়র পরে ময়নাতদন্তে জানা গিয়েছে, হার্ট স্ট্রোকে মারা গিয়েছিলেন জুনিয়র।

২. দেবজিত ঘোষ

২০০৩ সালের আশিয়ান জয় আজও ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের কাছে গর্বের বিষয়। কিন্তু সেই গর্বের মুহুর্ত কালিমালিপ্ত হতে পারত, যদি না সঠিক চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠতেন তারকা ফুটবলার দেবজিত ঘোষ। আশিয়ানের কোয়ার্টার ফাইনালে ইন্দোনেশিয়ার পেরসিতা টাঞ্জেরাংয়ের বিরুদ্ধে হঠাতই অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন দেবজিত। সেই সময় উপস্থিত খেলোয়াড়দের সিপিআর ও মেডিকাল স্টাফের তৎপরতায় প্রাণ ফিরে পান দেবজিত।

৩. মার্ক ভিভিয়ান ফো

২০০৩ সালের কনফেডারেশন কাপের সেমি ফাইনালে শক্তিশালী ফ্রান্সের মুখোমুখি হয়েছিল ক্যামেরুন। আর আফ্রিকান এই দেশের অন্যতম ভরসা ছিলেন মার্ক ভিভিয়েন ফো। তবে ২৮ বছরের এই ফুটবলার হঠাতই সেই ম্যাচে অজ্ঞান হয়ে পড়ে গিয়েছিলেন। প্রচুর চেষ্টা করা সত্ত্বেও এক ঘন্টা পড়েই তিনি প্রাণ হারান। পরে জানা গিয়েছিল, হৃদযন্ত্রের জটিল রোগে এমন অবস্থা হয়েছিল ফোয়ের।

৪. আবদেলহাক নৌরি

২০১৮ সালে ওয়ের্ডের ব্রেমেরের বিরুদ্ধে প্রীতি ম্যাচে হঠাতই হৃদরোগে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন আয়াক্সের ফুটবলার আবদেলহাক নৌরি। সেই সময় তাকে মাঠেই চিকিৎসা করানো হয় এবং হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া পর। এরপর মস্তিষ্কে সংক্রমণের জেরে কোমায় চলে গিয়েছিলেন নৌরি। দুই বছর নয় মাস পর জ্ঞান ফিরে পান তিনি। তবে এখনও তিনি পুরোপুরি ফিট হতে পারেননি।

৫. চিক টিওটে

২০১৭ সালে নিজের ৩১তম জন্মদিনের কয়েক দিন আগে চীনের ক্লাব নেজিং এন্টারপ্রাইসেসের হয়ে অনুশীলনের সময় অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন চিক টিওটে। আর তারপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তিনি দেহত্যাগ করেন। সেই সময় জানা গিয়েছিল, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে এমন অবস্থা হয়েছে টিওটের।