গোয়াকে ফর্মে ফিরিয়ে এনে আবারও হারল ইস্টবেঙ্গল

এফসি গোয়া - ১ (নোয়া সাদাউই)
ইস্টবেঙ্গল এফসি - ০
এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : মোহনবাগান ফতোরদায় গোয়াকে হারিয়ে গোয়ার ফর্ম নষ্ট করেছিল, সেখানে ইস্টবেঙ্গল ফতোরদায় এসে গোয়াকে ছয় ম্যাচে প্রথম জয় দিয়ে দিল। গোয়ার আক্রমণকে রুখতে ব্যস্ত থাকা ইস্টবেঙ্গল পরাজিত হল নোয়া সাদাউইর একমাত্র গোলে। আর এর ফলে সুপার সিক্সে যাওয়ার স্বপ্ন দেখা বন্ধ করতে পারেন সমর্থকরা, এমনটা বলাই যায়।
প্যান্টিচ ও হিজাজিকে সেন্ট্রাল ডিফেন্সে আর রাইট ব্যাকে লালচুংনুংগাকে রেখে আলট্রা ডিফেন্সিভ উপায়ে শুরু করতে চেয়েছিলেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। কিন্তু গোয়া শুরুতেই লাল-হলুদ রক্ষণের ফাঁকফোকর খুঁজে বের করেছিল। ১২ মিনিটে একেবারে ফাঁকায় ডিফেন্সকে ভেদ করে গোলে এগিয়ে যান নোয়া সাদাউই, কিন্তু পা বাড়িয়ে বাঁচিয়ে দেন প্রভসুখন গিল। এরপর বোরহা হেরেরার মাইনাস পুরো ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সকে ভেদ করে বেরিয়ে যায়।
আরও পড়ুন - “মোহনবাগানের জন্য টিকিটের দাম বেশি” -হোম ম্যাচে প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার ‘ ক্ষুদ্ধ’ বাগান সচিবের
তবে ইস্টবেঙ্গলও প্রতি আক্রমণে চেষ্টা করে চলেছিল। নন্ধকুমার, মহেশ, ক্লেইটন ও বিষ্ণু বারবার গোয়া বক্সে হানা দিচ্ছিলেন, কর্নার ও সেটপিস থেকে হিজাজি মাহেরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছিলেন, কিন্তু লাভ হয়নি। তবে ৪২ মিনিটে গোলমুখ খুলে দেয় গোয়া। মহম্মদ ইয়াসিরের থ্রু পাসে বল পেয়ে দুরন্ত শটে গোল করেন নোয়া।
দ্বিতীয়ার্ধে গোয়া যেন আরও তেড়েফুঁড়ে আক্রমণে ওঠে। কার্লোস মার্টিনেজ, নোয়ারা বারবার ইস্টবেঙ্গল রক্ষণে হানা দিচ্ছিলেন। ইস্টবেঙ্গল যেন খোলস ছেড়ে বেরোতেই পারছিল না। পরিবর্ত হিসেবে জেসিন টিকে ও ফেলিসিও ব্রাউন এবং সাইডব্যাকে মহম্মদ রাকিপকে নামিয়ে আক্রমণে জোর দেন কুয়াদ্রাত। কিন্তু আক্রমণ দূর, ডিফেন্স করতেই ব্যস্ত ছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। বারবার গোয়ার আক্রমণকে আটকানোর কাজই করে যাচ্ছিল হিজাজি-প্যান্টিচরা। শেষের দিকে উদান্তা সিংয়ের প্রয়াস পোস্টে লাগে।