এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : বিশ্ব ফুটবলে বর্তমান সময়ের সেরা স্ট্রাইকারদের একজন নিঃসন্দেহে করিম বেঞ্জেমা। ফরাসি এই ফরোয়ার্ড ইতিমধ্যেই রিয়াল মাদ্রিদের পঞ্চম সর্বোচ্চ গোলস্কোরার, গোল করেছেন ২৭৯টি। জিতেছেন চারটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, দুটি লা লিগা ও চারটি ক্লাব বিশ্বকাপ। কিন্তু এই সুপারস্টার ফরোয়ার্ডকে রিয়াল নয়, বরং সই করে নিত চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এফসি বার্সিলোনা।

আকছারই দলবদলের কথাবার্তা ভেস্তে যায় চুক্তির অর্থ কিংবা দৈর্ঘ্যের জন্য, কিন্তু যে কারণে এফসি বার্সিলোনা সই করায়নি বেঞ্জেমাকে, তা সত্যিই অদ্ভুত। বৈঠকে সকলের সাথে চোখে চোখ মেলাননি বলে সেই সময়ের তরুণ ফরোয়ার্ডকে নেয়নি বার্সা।

ঘটনাটি জেনে নেওয়া যাক, ২০০৮-০৯ মরশুমে এফসি বার্সিলোনার দায়িত্ব নেন পেপ গুয়ারদিওলা। সেই সময় দলে স্যামুয়েল এটোর মত তারকা ফরোয়ার্ড থাকা সত্ত্বেও সেই সময়ে লিয়ঁর হয়ে খেলা করিম বেঞ্জেমাকে পেতে চেয়েছিলেন গুয়ারদিওলা। তখন ফরাসি ক্লাবের হয়ে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন বেঞ্জেমা।

স্প্যানিশ পত্রিকা মার্কার রিপোর্ট অনুযায়ী, সেই সময়ে বার্সিলোনার টেকনিক্যাল সচিব জিকি বেজিস্রিস্টেন খেলোয়াড় নিয়োগের দায়িত্বে ছিলেন এবং বেঞ্জেমাকে দলে আনার জন্য লিয়ঁতে তার বাড়িতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেই বৈঠকটি মনোমত হয়নি জিকির, কারণ তিনি লক্ষ্য করেছিলেন, আলোচনার সময়ে বেঞ্জেমা তার সাথে চোখে চোখ রাখছিলেন না।

আর এর জেরে এফসি বার্সিলোনা সিদ্ধান্ত নেয় যে তারা বেঞ্জেমাকে নেবে না কারণ তিনি ক্লাবের পক্ষে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাবেন এবং দলে মানিয়ে না নিতে পেরে ঝামেলা তৈরি করবেন। বরং ২০১০ সালে দাভিদ ভিয়াকে সই করায় বার্সিলোনা, আর সেই সময়ে রিয়াল মাদ্রিদে সই করেন বেঞ্জেমা। কেবল চোখে চোখ না মেলানোর জন্য এত বড় সুযোগ হাতছাড়া করল বার্সিলোনা। হয়ত তা বেঞ্জেমার পক্ষেই ভালো হয়েছে।