এক্সক্লুসিভ : কোয়েসের থেকে 'এনওসি' ও 'স্পোর্টিং রাইটস' পেয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল। বিস্তারিত পড়ুন...

এক্সট্রাটাইম বাংলা ফুটবল শো'তে অংশগ্রহণ করতে ক্লিক করুন নিচের লিঙ্কে...
https://streamyard.com/zgk6bu85dy
সব্যসাচী বাগচী: অবশেষে স্বস্তি। ১৭ জুলাই বিকেলের দিকে কোয়েসের থেকে পুরোপুরি মুক্ত হয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল। এদিন বিকেলেই ক্লাবের কাছে কোয়েসের তরফ থেকে 'এনওসি' ও 'স্পোর্টিং রাইটস' এর যাবতীয় কাগজপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ফলে নিঃসন্দেহে স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলবেন অগুনিত লাল-হলুদ সমর্থকরা। পুরোনো কোম্পানির ৩০% শেয়ার কোয়েসের কাছে ফেরত দিয়ে পুরো সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এল লাল-হলুদ। ফলে কোয়েস ইস্টবেঙ্গল এফসি নামক কোম্পানির সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের আর কোনও সম্পর্কই রইল না।
বৃহস্পতিবার গভীররাতে এক্সট্রাটাইম জানিয়েছিল যে ইস্টবেঙ্গলের পাঠানো ড্রাফট এগ্রিমেন্টের কাগজে সহমত করেছিল কোয়েস। স্ট্যাম্প পেপারে সই করে বিচ্ছেদের কাগজ পাঠিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। কোয়েসের তরফ থেকে সই করা ছিল স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। ইস্টবেঙ্গলের পাঠানো ড্রাফট এগ্রিমেন্টকে গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছিল কোয়েস। কয়েকদিন আগে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকে যে ড্রাফট এগ্রিমেন্টের কাগজপত্র পাঠানো হয়েছিল, শোনা যাচ্ছে সেই কাগজপত্র নিজেদের আইনি উপদেষ্টাদের দেখিয়ে আবার ইস্টবেঙ্গলকে পাঠিয়ে দিয়েছিল কোয়েস। বৃহস্পতিবার সেই কাগজটি আর ড্রাফট রইল না। সরকারি কাগজে যাবতীয় সই সাবুদ করে কোয়েসের অফিসে পাঠিয়ে দেওয়া হয় লাল হলুদের তরফ থেকে।
আর তাই কোয়েসের তরফ থেকে শুক্রবার বহু প্রতীক্ষিত 'এনওসি' ও 'স্পোর্টিং রাইটস' ইস্টবেঙ্গলের হাতে চলে এল। এরপর ক্লাব লাইসেন্সিং ফিরে পাওয়া এবং আইএসএল খেলার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ার অপেক্ষা। ইস্টবেঙ্গলের অন্দরে কর্মযজ্ঞ চলছে। কর্তাদের তৎপরতা তুঙ্গে। সকর্থকদের মনেও আনন্দ। যেন শাপমুক্তি ঘটল।