এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক: বৃহস্পতিবার সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪-এর ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও বাংলাদেশ। সেখানে পুরো সময়ের খেলা ১-১ গোলে ড্র ছিল। তারপর এক্সট্রা টাইম এবং পেনাল্টি শ্যুটের পরও দেখা যায় ভারত ও বাংলাদেশ দুজনেই ১১-১১ স্কোর করেছে। এরপর দুই দলের মধ্যকার এই ম্যাচটির সিদ্ধান্ত নিতে কয়েন টস করা হয়। কয়েন টসে ভারত সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ এ জয় লাভ করে। এরপরই শুরু হয় বিতর্ক। মাঠের মধ্যে ইট-পাথর ছুঁড়তে থাকেন বাংলাদেশের সমর্থকরা। যুগ্মজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে ভারত এবং বাংলাদেশকে। তবে এই ম্যাচের পরতে পরতে ছিল একাধিক নাটক। জন্ম দিয়েছে বিতর্কেরও। কী হয়েছে এই ম্যাচে? আসুন, সেটাই জেনে নেওয়া যাক।

রেফারি সিদ্ধান্ত নেন যে টস করা হবে। টসে যে দল জিতবে, তারাই শেষপর্যন্ত ট্রফি জিততে পারবে। এখানেই শুরু হয় বিতর্ক। বাংলাদেশ ফুটবল দল টসের জন্য প্রথমে রাজি হলেও, তারা শেষপর্যন্ত হেরে যায়। এরপর ভারতকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। কিন্তু, এখানেই বেঁকে বসেন বাংলাদেশের মহিলা ফুটবলাররা। তাঁদের দাবি, এমনভাবে টস করে কখনই জয়-পরাজয় নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। এমনকী, ব্যাপারটা নিয়ে তারা ম্যাচ কমিশনারের কাছে অভিযোগ করেন।

আরও পড়ুন: “আমি ভয়ানক ভুল করে ফেলেছি”- কেন এমন মন্তব্য এবি ডি ভিলিয়ার্সের? জানুন বিস্তারিত

এরপর ম্যাচ কমিশনার টসের সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেন। বাংলাদেশ ফুটবলারদের এহেন আচরণে ভারতীয়রা রীতিমতো বিরক্ত হয়ে মাঠ ছেড়েও বেরিয়ে যান। এমন সময় ঘোষণা করা হয় যে ভারতীয় ফুটবলাররা মাঠে না ফেরেন, তাহলে বাংলাদেশকে শেষপর্যন্ত জয়ী ঘোষণা করে হবে। এই টালবাহানার কারণে কেটে যায় প্রায় আড়াই ঘণ্টা। অবশেষে রাত ১০টা ৪০ মিনিট নাগাদ মাঠে আসেন বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান। আর সেইসঙ্গে ভারত এবং বাংলাদেশকে যুগ্মভাবে এই টুর্নামেন্টের জয়ী ঘোষণা করা হয়। তবে এই ঘটনায় ভারতীয় ফুটবলাররা এতটাই রেগে যায় যে ম্যাচের অধিনায়ক এবং সহ অধিনায়ক ছাড়া আর কেউ পুরস্কার নিতে আসেননি। ফলে এই ম্যাচ ঘিরে চরম বিতর্কের সৃষ্টি হয়।