ইতিহাস ছুঁতে পারলেন না রয় কৃষ্ণারা,বঙ্গতনয় ঋত্বিকের গোলে অপরাজিত থাকার দৌড়ও শেষ এটিকে মোহনবাগানের

এক্সট্রা টাইম বাংলা ওয়েব ডেস্ক : আশা যেমন অনেক ছিল তেমন ছিল অনেক বাঁধাও। মরশুমের মাঝপথ থেকেই চোট আঘাত, কোভিড এসবে একেবারে জর্জরিত হয়ে পড়েছিল সবুজ মেরুন শিবির। কিন্তু কোচ হুয়ান ফেরান্দোর বদান্যতায় ও তাঁর ছেলেদের অদম্য প্রয়াসে জার্সির রংটা কখনও ফিকে লাগেনি। প্রতিপক্ষের সাথে চোখে চোখ রেখে লড়াই করে জয় ছিনিয়ে এনেছে তাঁরা,এমনকি নিজেদের প্রধান অস্ত্র রয় কৃষ্ণাকেও পায়নি মাঝের বহু ম্যাচে। কিন্তু আস্তে আস্তে যেন তাঁরা আশা দেখাচ্ছিল সেই দুর্লভ ইতিহাস ছোঁয়ার লক্ষ্যে। একের পর এক ম্যাচ জয়ের পর শেষ ম্যাচে রয় কৃষ্ণার গোল ও এল। কিন্তু শেষ ল্যাপে গিয়ে সব শেষ! কোথায় কি? যে ম্যাচটাতে শুধু জয় নয়,২ গোলের ব্যবধানে জিততে হত সেই ম্যাচে আক্রমণাত্মক দল নামানো খুব স্বাভাবিক কিন্তু সেই আক্রমণাত্মক দল নামাতে গিয়ে সব শেষ হয়ে গেল তাঁদের। এক বঙ্গতনয়ের গোলেই সব আশা এক লহমায় শেষ হয়ে গেল। থেমে গেল টানা ১৫ ম্যাচে অপরাজিত থাকার দৌড়ও।
ম্যাচের শুরুতে বেশ আক্রমণাত্মক মেজাজে দল নামিয়েছিলেন কোচ ফেরান্দো, ৪-২-৩-১ এর জায়গায় এইদিন ৪-৪-২ ছকে দল নামান। কিন্তু ম্যাচের শুরুর মিনিট থেকেই কেমন যেন সিটিয়ে খেলছিল সবুজ মেরুন খেলোয়াড়রা। সেখানে বেশ সংঘঠিত লাগছিল জামশেদপুরকে। সময় পেরোতেই জনি কাউকোকে দেখা গেল আক্রমন সামলানোর বদলে রক্ষণের দিকে নেমে যাচ্ছেন তিনি। জামশেদপুর ডিফেন্সের বদান্যতায় রয় কৃষ্ণাকেও বড্ড সাধারণ মানের লাগছিল।মনবীরকে গোটা ম্যাচে খুঁজে পাওয়া যায়নি। জামশেদপুরের লক্ষ্য ছিল প্রতি আক্রমণে উঠে গোল তুলে নেওয়া। তাঁর জন্য তারা বেশ কয়েকবার পৌঁছেও গেছিল গোলমুখে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার সদব্যবহার করতে পারেনি। এভাবেই শেষ হয় প্রথমার্ধ।
দ্বিতীয়ার্ধে এটিকে মোহনবাগানের যা করা উচিত ছিল সেটা করল জামশেদপুর। প্রচন্ড গতিতে মাঝমাঠে চাপ সৃষ্টি করে সবুজ মেরুন ডিফেন্সকে দিশেহারা করে দিতে লাগল। অমরিন্দরকেও বেশ নড়বড়ে লাগছিল তখন। ঠিক তখনই ম্যাচের সবচেয়ে ভুল সিদ্ধান্তটি নিলেন সবুজ মেরুন কোচ, কার্ল ম্যাকহিউয়ের জায়গায় তিনি নামালেন উইলিয়ামসকে। ফল যা হওয়ার তাই হল, সবুজ মেরুন ডিফেন্সের মুখ মুহূর্তের মধ্যে খুলে গেল।এই সুযোগেই ৫৬ মিনিটে দুরন্ত শটে সবুজ মেরুনের সব স্বপ্নে জল ঢেলে দিয়ে ম্যাচের নায়ক হলেন ঋত্বিক দাস। এরপর কিছু বিক্ষিপ্ত আক্রমন করলেও জামশেদপুর দলটার ওপর কিছুই প্রভাব ফেলতে পারেনি এটিকে মোহনবাগান।