জামশেদপুরের বিরুদ্ধে নামার আগে কোন ইস্যু নিয়ে ব্যস্ত চিন্তায় আন্তোনিও লোপেজ হাবাস? জানতে পড়ুন...

নিজস্ব প্রতিনিধি : জয়ের বিজয়রথ জোরকদমে ছুটছে। রয় কৃষ্ণা ম্যাজিক ও ডিফেন্ডারদের আঁটোসাঁটো ডিফেন্সের সৌজন্যে ৩ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের মগডালে এটিকে মোহনবাগান। তবুও পরবর্তী প্রতিপক্ষ জামশেদপুর এফসি'র বিরুদ্ধে নামার আগে সতর্ক ও চিন্তিত আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। এই অবস্থায় সোমবার তিলক ময়দানে স্কটিশ কোচ আওয়েন কয়েলের দলের বিরুদ্ধে নামবে সবুজ-মেরুন বাহিনী।
তিনটি ফ্যাক্টরের জন্য চিন্তিত দুবারের আইএসএল জয়ী কোচ। এক) আগামী ৮ দিনে ৩'টি ম্যাচ। দুই) এডু গার্সিয়া ও ডেভিড উইলিয়ামসের চোট। এবং তাঁদের কামব্যাক। এডু'র অবর্তমানে মাঝমাঠের খেলা দানা বাঁধছে না। শোনা যাচ্ছে স্প্যানিশ মিডফিল্ডার ও ডেভিড উইলিয়ামস এই ম্যাচে খেলতে পারেন। এতে মাঝমাঠের পাশাপাশি রয় কৃষ্ণার উপর চাপ কমবে। তিন) স্কটিশ কোচ আওয়েন কয়েল। দ্বিতীয় জন লিথুয়ানিয়া থেকে আসা স্ট্রাইকার নেরিয়াস ভাল্সকিস।
আর তাই শীর্ষে থাকলেও আত্মতুষ্টিতে ভুগছেন না কোচ হাবাস। রবিবার গোয়া থেকে ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেছেন, "জেতা একটা অভ্যেস। সেটার জন্য কঠিন পরিশ্রমের পাশাপাশি নিয়মানুবর্তিতা প্রয়োজন। সেগুলোর সৌজন্যে দল এই মুহূর্তে লিগ টেবিলের শীর্ষে থেকে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। তবে একইসঙ্গে সামনের দিনগুলো আমাদের খুব কঠিন। আগামী ৮ দিনে ৩'টি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে হবে। ফলে আত্মতুষ্টি'র জায়গা নেই। কারণ, জামশেদপুর যথেষ্ট কঠিন দল।"
ব্রিটিশ কোচ গত বছর চেন্নাইয়ে থাকাকালীন ফাইনাল'সহ তিনবারের সাক্ষাতে হাবাসের বিরুদ্ধে ২-১ পিছিয়ে থাকলেও কলকাতায় এসে ৩-১ গোলে ম্যাচ জিতেছিলেন। তিনবারের সাক্ষাতেই দু’বার গোল করেন ভাল্সকিস। গত বছর রয় কৃষ্ণের মত তিনিও আইএসএলে ১৫ গোল করেছেন। গত তিন ম্যাচে এটিকে মোহনবাগান জয় পেলেও, ডান দিকে প্রবীর দাসের মতে অতটা সচল নন শুভাশিস বসু। বরং শুভাশিস তিনি রক্ষণ সামলাতে বেশি ব্যস্ত থাকেন। তাই এবার বাঁ দিক সচল রাখতে মাঝমাঠ থেকে জয়েশ রানেকে বাঁ দিকে সরিয়ে আক্রমণে জোর বাড়ানো হতে পারে। ব্র্যাড ইনম্যানকে বেশি সময় খেলানোর পরিকল্পনাও আছে। হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পাওয়া এডু গার্সিয়া নাকি এখন ফিট। ডেভিড উইলিয়ামসকে সুস্থ করে তোলার কাজ চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। এডু'র অনুপস্থিতিতে মাঝমাঠ যে সচল থাকছে না সেটা মেনে নিলেন স্প্যানিশ কোচ। বলে দিলেন, "ফুটবলের আসল প্রাণকেন্দ্র হল মাঝমাঠ। মাঝমাঠ ঠিকঠাক সচল থাকলেই ডিফেন্স ও স্ট্রাইকিং লাইনের কাছে বল ডিস্ট্রিবিউশন সঠিকভাবে হয়। দল জিতলেও এই জায়গায় দুর্বলতা ধরা পড়েছে। এবং সেটা চিন্তার বিষয়। মাঝমাঠে ক্রিয়েটিভিটি আরও বাড়াতে হবে। এডু আগের থেকে সুস্থ। পরবর্তী ম্যাচে ওকে খেলবো কিনা দেখা যাক।"
স্ট্রাইকিং লাইনে হাবাসের প্রধান হাতিয়ার রয় কৃষ্ণা ফর্মের তুঙ্গে আছেন। যদিও ফিজির স্ট্রাইকার এখনও পুরো ফিট নন। এরমধ্যে তিনটি ম্যাচেই গোল করেছেন সবুজ-মেরুন সমর্থকদের কাছে 'জয় কৃষ্ণা'। কিন্তু কৃষ্ণার উপর কি ওভার লোড পড়ছে না? হাবাসের জবাব, "কৃষ্ণা বিশ্বমানের ফুটবলার। এবং ও আদর্শ টিমম্যান। তাই কৃষ্ণা বাড়তি চাপ এনজয় করে। ওকে নিয়ে ভাবতে যাবেন না।"