এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : গুজরাটের নরেশ তুমদার গল্প বেশ হতাশাজনক। নরেশ তুমদা ২০১৮ সালে ব্লাইন্ড ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ী ভারতের স্কোয়াডের অংশ ছিলেন। কিন্তু তিন বছর পরে, বর্তমানে, এই তরুণটিকে বেঁচে থাকার জন্য শ্রমিক হিসাবে কাজ করতে হচ্ছে। শারজাতে সেই বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারত পাকিস্তানকে দুই উইকেটে পরাজিত করে, ৩০৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে।

নরেশ তুমদা একজন অসাধারণ প্রতিভাবান ক্রিকেটার। পাঁচ বছর বয়স থেকে খেলা শুরু করা এই ক্রিকেটার ২০১৪ সালে গুজরাট দলে জায়গা পান। এরপর শীঘ্রই ভারতের হয়ে খেলার সুযোগ পান। যাইহোক, কিন্তু হতাশাজনকভাবে, অর্থনৈতিক অবস্থার এতটাই অবনতি হয় যে তুমদা জীবিকা অর্জনের জন্য শ্রমিক হিসাবে কাজ করতে বাধ্য হয়।

নরেশ তুমদা প্রচুর সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন; কিন্তু তার কোনো ফল হয়নি। তিনি গত বছরে আয়ের জন্য সবজি বিক্রি করতে শুরু করেন। তিনি বলেন, "আমি এখন প্রতিদিন সবজি বিক্রি করি এবং ২৫০ টাকা আয় করি। আমি সরকারকে অনুরোধ করেছি আমাকে একটি চাকরি দেওয়ার জন্য যাতে আমি আমার জীবিকা অর্জন করতে পারি।" তিনি এও বলেন, "আমি পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী।"

নরেশ তুমদা আরও দাবি করেন যে সবজি বিক্রি থেকে আয় যথেষ্ট নয়। তাই তিনি ইট তোলার শ্রমিক হিসাবে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২৯ বছর বয়সী বলেন তার বাবা-মা অনেক ঋণ করেছেন এবং তার বাবা আর কাজে করতে পারবেন না। কারণ “আমার বাবা -মা বৃদ্ধ, এই বয়সে আমার বাবা চাকরিতে যেতে পারবেন না। তাই আমাকে উপার্জনের রাস্তায় নামতে হয়েছে," যথেষ্ট হতাশ হয়ে বলেন।