অবশেষে মুখ খুললেন সুরেশ রায়না। কী বললেন? জানতে পড়ুন...

এক্সট্রা টাইম নিউজ ডেস্ক : আইপিএল শুরু হওয়ার আগেই দল ছেড়ে দেশে ফিরেছিলেন সুরেশ রায়না। সেইজন্য চেন্নাই কিংসের মালিক এন.শ্রীনিবাসন তাঁকে তিরস্কারও করেন। সিএসকে শিবিরে দুজন ক্রিকেটারসহ একাধিক সদস্য কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার জন্যই নাকি রায়না দল ছেড়েছিলেন। তাঁর পরিবারের জন্য এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আবার টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজনের মতে হোটেলের ঘর ঠিকঠাক না থাকার জন্যই নাকি রায়না এমন কড়া পদক্ষেপ নেন। তিনি কেন দেশে ফিরলেন সেই বিষয় নিয়ে মন্তব্য না করলেও, তিনি কিন্তু মুখ খুললেন।
গত ১৯ আগস্ট রাতে রায়নার আত্মীয়র বাড়িতে একদল অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। সেই সময় বাড়ির ছাদে ঘুমোচ্ছিলেন পিসি-পিসেমশাই ও তাঁদের সন্তানরা। তখনই ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাঁদের উপর আক্রমণ করে দুষ্কৃতীরা বলে জানা গিয়েছে। সেই হামলাতেই প্রাণ হারান চুয়ান্নর বছরের অশোক কুমার। যিনি সুরেশের পিসেমশাই। এই ঘটনায় গুরুতর আঘাত পান তাঁর পিসি আশাদেবী। বর্তমানে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। তাঁর পিস্তুতো দুই ভাই ৩২ বছরের কৌশল কুমার ও ২৪ বছরের আপিন কুমারও গুরুতর চোট পেয়েছিলেন। এরমধ্যে সোমবার এক ভাইয়ের মৃত্যু ঘটেছে। দুষ্কৃতীদের হামলা থেকে মৃত অশোক কুমারের ৮০ বছরের মা’ও বাদ যাননি। তাঁকেও ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়। তিনিও এই মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি। আর তাই পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং ও সেই রাজ্যের পুলিশের সাহায্য চেয়েছেন তিনি।
ট্যুইটারে রায়না লিখেছেন, "পঞ্জাবে আমার পরিবারের উপর দিয়ে যা ঘটেছে সেটা ভাবলেই শরীর শিউরে উঠছে। আমার পিসেমশাই আগেই নিহত হয়েছেন। আমার পিসি ও তাঁর দুই ছেলে ব্যাপকভাবে আহত হয়েছেন। এরমধ্যে আবার পিসির এক সন্তান মারাও গেলেন। পিসির শারীরিক অবস্থা মোটেও ভাল নয়।" তবে এখানেই শেষ নয়। আরও একটি ট্যুইটে এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান লিখেছেন, "সেই অভিশপ্ত রাতে কারা এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটালো সেটা এখনও জানতে পারিনি। তাই পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং ও সেই রাজ্যের পুলিশের কাছে বিনীত অনুরোধ আততায়ীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন। যাতে বাকিরা এমন কুৎসিত কান্ড ঘটানোর আগে দশবার চিন্তাভাবনা করে।"