Photo- StarSports (screen grab)

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্কঃ ভারত বারবার উদযাপনে মেতে উঠেছে—হোক তা বিশ্বকাপ জয় বা একটি ম্যাচের জয়, সিরিজে সাফল্য, বা কোনও খেলোয়াড়ের শতরান। কিন্তু কখনও ভেবেছিলেন, দল শুধু ফলো-অন এড়ানোর জন্যই এত উচ্ছ্বাস করবে? গাব্বায়, যখন ভারত অল্পের জন্য অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফলো-অন এড়াল, তখন ড্রেসিং রুম থেকে এক অপ্রত্যাশিত গর্জন শোনা যায়। বিরাট কোহলি এবং কোচ গৌতম গম্ভীর উদযাপনের ভঙ্গিতে হাই-ফাইভ করেন, তাদের উদ্দীপনা দেখে মনে হচ্ছিল যেন তারা ম্যাচ জিতে গিয়েছে। কিন্তু এই মুহূর্তটি কি সত্যিই সেলিব্রেশনের যোগ্য ছিল?

দশম উইকেটে জসপ্রীত বুমরাহ এবং আকাশ দীপের অবিচ্ছিন্ন ৩৯ রানের পার্টনারশিপে যে দৃঢ়তা দেখানো হয়েছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। প্রবল চাপের মধ্যে তারা অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের হতাশ করে ফলো-অন এড়ানোর সীমা ২৪৬ রানের গণ্ডি পার করেন এবং দিনের শেষে স্কোর দাঁড়ায় ২৫২/৯। তাদের জেদ এবং সংকল্প ভারতকে একটি নতুন সুযোগ এনে দেয়, দলকে তৎক্ষণাৎ দ্বিতীয়বার ব্যাট করতে নামা থেকে রক্ষা করে।

তবু প্রশ্ন থেকেই যায়: এটা কি সেলিব্রেশনের সঠিক সময় ছিল? ভারত এখনও অস্ট্রেলিয়ার থেকে ১৯৩ রানে পিছিয়ে, সামনে কঠিন পঞ্চম দিন। ম্যাচ বাঁচানো এখনও অনেক দূরের বিষয়, সিরিজ ১-১ সমতায় ঝুলে আছে, এবং চূড়ান্ত লক্ষ্য—বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পৌঁছানো—এখনও অনেক দূরের বিষয়!

কেএল রাহুলের দুর্দান্ত ৮৪ রান এবং জাদেজার অর্ধশতরান মজবুত ভিত্তি তৈরি করেছিল, কিন্তু সকলের নজর কাড়ে ভারতের টেল-এন্ডাররা। খারাপ আলো এবং বৃষ্টির কারণে অস্ট্রেলিয়ার আধিপত্যে কিছুটা বিঘ্ন ঘটলেও, আবহাওয়ার বাঁধা একমাত্র ভরসা হতে পারে না ভারতের। প্যাট কামিন্সের আগুনঝরা স্পেল (৪/৮০) এবং মিচেল স্টার্কের তিন উইকেট ভারতের নড়বড়ে ব্যাটিংকে উন্মোচিত করে, নিম্ন-ক্রমের ব্যাটারদের বাধ্য করে পরিস্থিতি সামাল দিতে।

আবহাওয়ার চোখরাঙানি আর অস্ট্রেলিয়ার দাপটের মাঝে, ফলো-অন এড়ানো কি সত্যিই উদযাপনের কারণ ছিল? নাকি এটি ভারতের চরম লড়াইয়ে অসহায়তার প্রতিফলন? দর্শক, আপনাদের কী মত—এই হাই-ফাইভ কি সঠিক ছিল, নাকি নাচার জন্য সময় এখনও অনেক বাকি?