বিশ্বকাপে ভারতকে জেতাতে চাই! বিরাট কোহলির সাথে হুঙ্কার ছাড়লেন দীনেশ কার্তিক

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : চলতি আইপিএলে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন দীনেশ কার্তিক। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে ফিনিশারের ভূমিকা ভালো ভাবেই পালন করছেন। ডিকে ২.০ এ মুগ্ধ গোটা ক্রিকেট বিশ্ব।
এই পরিস্থিতিতে এবার তারকা ক্রিকেটার বিরাট কোহলির সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে নানা কথা শেয়ার করলেন দীনেশ কার্তিক। দেখে নিন এই দুই তারকার কথোপকথন।
বিরাট - আমি এই ধরণের জিনিস খুব একটা করি না, কিন্তু এখন আমি এখানে। আজ একটি বিশেষ দিন এটি করার জন্য। আমি এই মুহুর্তে রয়েছি 'ম্যান অফ দ্য আইপিএল' এর সাথে, অসাধারণ লাগছে। আমি বলব না যে দীর্ঘ সময় ধরে চলুক, কারণ এটি অনেক দিন ধরেই চলবে এবং তুমি সেই জায়গাতেই রয়েছ আর তা আমি দেখতে পারছি। তোমাকে ব্যাট করতে দেখে খুব ভালো লাগছে। ধন্যবাদ আমাদের ম্যাচ জেতানোর জন্য। আইপিএল ২০১৩ এর পর আমার দেখা তোমার সেরা ইনিংস।"
কার্তিক - ছোট লক্ষ্য ও বড় লক্ষ্য অবশ্যই রয়েছে। ছোট লক্ষ্য হল আরসিবির হয়ে ভালো খেলা। আমি কৃতিত্ব দেব আরসিবির ব্যাকরুম স্টাফকে। যে দিন আমায় বাছা হয়েছে, সঞ্জয় (বাঙ্গার) ভাই ফোন করে বলেন, 'ডিকে তুমি ফিনিশারের ভূমিকায় খেলবে। আমরা এবিকে হারিয়ে ভুগেছি, ওর অর্ধেকও কাউকে আমরা পাব না পরিবর্ত হিসেবে। আমাদের দুই-তিনজন খেলোয়াড়কে দরকার সেই ভূমিকার জন্য।' ও এতটাই ভালো। তখন আমি ভাবলাম, আমাকে এটাই করতে হবে।"
বিরাট - আমি খুব খুশি ডিকে নিজের লক্ষ্যে অবিচল এবং আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি তুমি তোমার জন্য একটা ভালো উদাহরণ তৈরি করেছ এবং শুধু আরসিবির হয়ে টি২০ ক্রিকেট খেলা নয়, তবে আমি নিশ্চিত তোমার এই খেলা সর্বোচ্চ পর্যায়ে নজর কেড়েছে। কারণ তুমি এবির কথা তুলে ধরেছ এবং আমার মনে হয় প্রিটোরিয়ায় বসে এবি খুব খুশি হবে, বাড়িতে বসে তোমায় ম্যাচ জেতাতে দেখে।
কার্তিক - আমি খুব খুশি আরসিবির হয়ে অবদান রাখতে পেরে। আরসিবির হয়ে এটি আমার দ্বিতীয় ইনিংস এবং আমি বিশেষ কিছু করতে চাইছিলাম। এমনকি, খুব গর্বিত লাগছে তোমার থেকে এই প্রশ্নগুলি পেয়ে।
বড় লক্ষ্য হল দেশের হয়ে খেলা। আমি জানি সামনেই টি২০ বিশ্বকাপ, আর সেটির অংশ হয়ে দেশকে জেতাতে চাই আমি। অনেক দিন হয়ে গেল ভারত কোনও বহু দেশীয় টুর্নামেন্ট জেতেনি। আমি সেই ব্যক্তি হতে চাই যে ভারতকে জেতাবে। কিন্তু তার জন্য, আপনাকে অনেক বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে। সেই খেলোয়াড় হওয়ার চেষ্টা করতে হবে যাকে দেখে মানুষ বলবে, এই খেলোয়াড়টা স্পেশাল কিছু করছে। এই মনোভাব নিয়ে আমি প্রতিদিন অনুশীলন করি। কোচকে কৃতিত্ব দেব যে আমায় এতকিছুর মধ্যে দিয়ে নিয়ে গিয়েছেন যাতে আমি নিজের সেরাটা দিতে পারি। বয়স বাড়লে, নিজেকে ফিট রাখতে হবে। আমি চেষ্টা করি এমনটা থাকার।
বিরাট - তোমার শীতলতা আমায় মুগ্ধ করেছে। তুমি সব ধরণের ফিল্ডের জন্য শট মারতে পারো। এটাই তোমার স্পেশাল ভূমিকা। ড্রেসিংরুমে সবাই এই কারণে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে। এবি তোমার উপর গর্বিত হবে।