কাজে এল না মিতালি-রাজেশ্বরীর দুরন্ত পারফর্মেন্স, চাপের মাঝেও দুরন্ত জয় দক্ষিণ আফ্রিকার

সব্যসাচী ঘোষ : আগেই সিরিজ জিতে নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েরা, এই ম্যাচটি কার্যত নিয়মরক্ষার ম্যাচ ছিল দুই দলের জন্য। কিন্তু শেষ ম্যাচেও দুরন্ত জয় হাসিল করে দুর্দান্ত ফলাফল করল প্রোটিয়ারা। শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে চাপে ফেলেও লাভের লাভ করতে পারল না ভারতীয় ব্রিগেড।
প্রথমে ব্যাট করে তেমন ভালো শুরু করতে পারেনি ভারত। প্রথম তিন ব্যাটসম্যানই কিছুটা ভালো শুরু করে আউট হয়ে যান। এরপর হাল ধরেন দুই সিনিয়র হরমনপ্রীত কৌর এবং মিতালি রাজ। ৩০ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হন হরমন, কিন্তু তারপরেও ভারতকে সম্মানজনক স্কোরে নিয়ে যাওয়ার প্রয়াসে ছিলেন অধিনায়িকা মিতালি।
১০৪ বলে অপরাজিত ৭৯ রানের ইনিংস খেলে একা কুম্ভের মত লড়াই করেন মিতালি রাজ। অন্য আর কেউই সাপোর্ট দিতে পারেননি অধিনায়ককে। যার ফলে তিন বল বাকি থাকতেই ১৮৮ রানে অল আউট হয় ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে তিন উইকেট নেন নাদিন ডে ক্লার্ক, এদিকে দুটি করে উইকেট নেন নন্ডুমিসো শাংগাসে এবং তুমি সেখুখুনে।
মাত্র ১৮৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা অনায়াসে তুলে দেবে দক্ষিণ আফ্রিকা, এমনই আশা করা হয়েছিল। কিন্তু শুরুতেই লরা উলভার্ট ও লারা গুডঅলকে তুলে নিয়ে দুর্দান্ত সূচনা করেন স্পিনার রাজেশ্বরী গায়কোয়াড়। এরপর আউট হন অধিনায়িকা সুন লুসও। মনে হচ্ছিল, দুরন্ত কামব্যাক সম্ভব করবে টিম ইন্ডিয়া।
কিন্তু মিডল অর্ডারে দক্ষিণ আফ্রিকার হাল ধরেন মিগনন ডু প্রিজ (৫৭) এবং অ্যানেক বশ (৫৮)। ৯৬ রানের দুর্দান্ত পার্টনারশিপে প্রোটিয়াদের ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন তারা। এরপর অল্প সময়ের মধ্যে দুটি উইকেট নিয়ে ম্যাচে ফেরে ভারত। কিন্তু মারিজানে কেপ (অপরাজিত ৩৬) ও নাদিন ডে ক্লার্ক (অপরাজিত ১৯) এর দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ১০ বল বাকি থাকতে পাঁচ উইকেটে জেতে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ভারতের হয়ে অসাধারণ বোলিং করেন রাজেশ্বরী গায়কোয়াড়। ১০ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন তিনি। কিন্তু তিনি ছাড়া আর কেউ সেই চাপ দিতে পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের উপর। বাকি দুই উইকেট নেন দয়ালান হেমলথা এবং চাল্লুরু প্রথ্যুষা।