'আত্মহত্যা সঠিক পথ নয়'। সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে মন্তব্য করলেন শ্রীসন্থ...

সব্যসাচী বাগচী : ঠিক সাতদিন হয়ে গেল সুশান্ত সিং রাজপুত আমাদের মধ্যে নেই। তবুও ফেসবুক, ট্যুইটার, ইনস্টাগ্রাম সর্বত্র তিনি ছড়িয়ে আছেন। ৩৪ বছরের এই প্রতিভাবান অভিনেতাকে নিয়ে এখনও একইরকম শোকস্তব্ধ নাগরিক সমাজ। 'স্পট ফিক্সিং' কাণ্ডের জন্য বিসিসিআই দ্বারা ছয় বছর নির্বাসিত শ্রীসন্থ'ও একটা সময় আত্মহত্যা করার ব্যাপারে মনস্থির করেছিলেন। তবে ফিরে আসেন। কিন্তু কাদের কথা ভেবে ফিরে আসেন 'কোচিন এক্সপ্রেস'?
এক্সট্রাটাইম'এর লাইভ অনুষ্ঠানে এসে সুশান্তের অকাল প্রয়াণ নিয়ে খোলামেলা মন্তব্য করলেন শ্রী। বলছিলেন, "মানসিক অবসাদ আমার জীবনেও এসেছি! মানসিক অবসাদ এলেই আত্মহত্যা করতে হবে এমনটা ভাবনাচিন্তা করা উচিত নয়। বরং সামনে থেকে পরিস্থিতির মোকাবিলা করাই আমার মূল লক্ষ্য ছিল। তবে তিহার জেলে থাকার সময় কিংবা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের সময় খুব হতাশ লাগত। একটা সময় মনে হত গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে যাই! কিন্ত পরক্ষণেই মা-বাবা'র মুখ মনে পড়ত। দাদা ও দুই দিদির কথা ভাবলেই মন শান্ত হয়ে যেত।" মুক্ত হয়ে ঘরে ফেরার পরেও মানসিক অবসাদে ভুগতেন। সেটাও জানাতে ভুললেন না এই পেসার। যোগ করলেন, "ঘরে ফেরার পরেও চুপচাপ থাকতাম। কারও সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করত না। সেই সময়টা বাবা খুব সাহায্য করেছিলেন।"
হিন্দি সিনেমায় অভিনয় করার জন্য সুশান্তের সঙ্গেও তাঁর পরিচয় হয়েছিল। দুজনের মধ্যে বন্ধুত্বও জমাট বাঁধে। সেই প্রসঙ্গ উঠতেই শ্রীসন্থ বললেন, "সুশান্তকে খুব ভালভাবে চিনতাম। জিমে ট্রেনিং করার সময় ওর সঙ্গে প্রায় দেখা হতো। তাছাড়া গত ফেব্রুয়ারি মাসে মুম্বইতে একটা পার্টিতে শেষবার সুশান্তের সঙ্গে আড্ডা মেরেছিলাম। ওর মত একটা প্রাণবন্ত ছেলে এমন একটা কাজ করতে পারে, এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না। তাই যুব সমাজের উদ্দেশে আমার একটাই অনুরোধ আবেগের বশে নিজের জীবনের সঙ্গে ছিনিমিনি খেলো না। পরিবারের প্রিয় মানুষগুলোর কথা ভেবে বাঁচতে শেখো।"