মানসিক অবসাদের শিকার হয়েছেন তিনিও, জানালেন কোহলি।

ফেব্রুয়ারি ২০ : তিনি বিশ্ব ক্রিকেটের কিং , খ্যাতি - যশ - প্রতিপত্তি কিছুরই অভাব নেই তাঁর । তবুও এসব থাকলেই যে মানসিক স্বাস্থ্য একদম ঠিক থাকবে সেটা মোটেও সত্যি নয় । একটি সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে কোহলি নিজেই জানালেন সেকথা ।
কোহলি জানান ২০১৪ সালটি তার জন্য খুবই কঠিন একটি সময় ছিল। সেই বছরই ইংল্যান্ড সফরে চূড়ান্ত ব্যর্থও হয়েছিলেন ব্যাট হাতে । প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ওই ৫ ম্যাচের সিরিজে ১০টি ইনিংসে তার ব্যাটিং গড় ছিল ১৩.৫০ ।
বিরাট জানান ওই সময়ে তিনি চরম একাকীত্বতে ভুগতে শুরু করেন । এমনটা নয় যে তাঁর দৈনন্দিন জীবনে কথা বলার লোক ছিল না , কিন্তু মানুষের ভিড়ের মধ্যে থেকেও ক্রমশই একা লাগতে শুরু করে তাঁর। কোনোভাবেই সেই অবস্থা তিনি কাটিয়ে উঠতে পারছিলেন না ।
পাশাপাশি বিরাট স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন মানসিক অবসাদের থেকে মুক্তির জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া উচিত । কেবলমাত্র চারপাশের মানুষজনের সাথে কথা বললেই বা নিজে নিজে চেষ্টা করলেই যে এর থেকে মুক্তি মেলে , এই ধারণা একেবারেই ভ্রান্ত । দীর্ঘদিন এর থেকে মুখ লুকিয়ে রেখে সমস্যাটিকে বয়ে নিয়ে চললে তা আদপে ব্যক্তি জীবন ও কর্মক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে বলেও জানান কোহলি ।
সাধারণ মানুষের মধ্যে একটি প্রচলিত ধারণা আছে যে মানসিক অবসাদ বোধহয় তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু নয় , কেউ কেউ তো একে ' বড় লোকের অসুখ " ইত্যাদি বলে ব্যঙ্গও করেন । কিন্তু জীবনের নানা রকম চাপে মানসিক অবসাদ একবার মনের মধ্যে চেপে বসলে তার পরিণতি হতে পারে মারাত্মক । সামাজিক প্রতিপত্তি বা অর্থনৈতিক সাফল্য কোনও কিছুই এর ওষুধ নয় । এর নির্দিষ্ট চিকিৎসা প্রয়োজন । একে অবহেলা করবেন না ।