জঘন্য ব্যাটিংয়ে জয়ের মুখ থেকে হার ছিনিয়ে নিল কলকাতা

এপ্রিল ১৩ : হ্যাঁ শিরোনামটি শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি । জেতা ম্যাচ কিভাবে নিজেদের গাফিলতিতে মাঠে রেখে আসতে হয় , মুম্বাইয়ের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচে তা দেখিয়ে দিল কলকাতা নাইট রাইডার্স । নিজেদের পকেটে থাকা ম্যাচ ১০ রানে হেরে মুম্বাইকে কার্যত দু পয়েন্ট উপহার দিল মর্গ্যান বাহিনী ।
চিপকে এদিন টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স । গত ম্যাচে বড় রান করা ক্রিস লীনের বদলে এদিন মুম্বাই নামায় কুইন্টন ডি কককে । বরুণ চক্রবর্তীর বলে মাত্র দুই রানের মাথায় প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি । তবে প্রোটিয়া ওপেনার আউট হলেও খেলা ধরে নেন রোহিত শর্মা (৩২ বলে ৪৩) ও সূর্য কুমার যাদব (৩৬ বলে ৫৬) । কিন্তু যখন মুম্বাই ক্রমশ বড় রানের দিকে এগোচ্ছে তখনই ফের ছন্দপতন হয় । শাকিবের বলে আউট হন সূর্য কুমার যাদব । সূর্য - রোহিত প্যাভিলিয়নে ফিরতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে মুম্বাই ব্যাটিং । কারণ মূলত একজন - আন্দ্রে রাসেল । মাত্র দুই ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৫ রানে ৫ উইকেট নেন ক্যারিবিয়ান মহাতারকা । রাসেলের বদান্যতাতেই কুড়ি ওভারের শেষে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান করে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দুরন্ত শুরু করেন দুই নাইট ওপেনার শুভমন গিল ও নীতিশ রানা । ৭২ রানের যুগলবন্দী গড়ে নাইটদের জন্য শক্ত ভীত গড়ে দেন দুজন। গিল ২৪ বলে ৩৩ রান করেন । নাইটদের হয়ে ৪৭ বলে ৫৭ রানের সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেন রানা । কিন্তু এবারও মুম্বাইয়ের ব্যাটিং এর মত একই ছবি দেখা যায় নাইটদের ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রেও । গিল - রানা ফিরতেই হুড়মুড় করে ভেঙে পড়তে থাকে কলকাতার ব্যাটিং । একসময় নাইটের জন্য সমীকরণটি ছিল এইরকম- ৩১ বলে জয়ের জন্য দরকার ৩১ রান , হাতে সাত-সাতটি উইকেট । সেখান থেকে শেষ ওভারে দরকার হয়ে পড়ে ১৫ রান । তবুও ক্রিজে তখনও রাসেল - কার্তিকের মতো মহারথী । কিন্তু কিউই পেসার ট্রেন্ট বোল্টের দুরন্ত বোলিংয়ে শেষ হয়ে যায় নাইটদের আশা । রান দেওয়া তো দূর , উল্টে দু বলে পরপর রাসেল ও কামিন্সের উইকেট নিয়ে কলকাতাকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন বোল্ট। সবমিলিয়ে আজকের ম্যাচ কেবল একটি খারাপ দিন হিসেবে গ্রহণ করলেই মঙ্গল নাইটদের জন্য ।