এক্সট্রা টাইম নিউজ ডেস্ক : দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের গাফিলতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তথা কিংস ইলেভেনে পঞ্জাবের মালকিন প্রীতি জিন্টা। এই ভুলের খেসারত হিসেবে সুপার ওভারে ম্যাচ হারতে হয় পঞ্জাবকে। এরপর ট্যুইটারে বিসিসিআইকে একহাত নেন প্রীতি। তিনি লেখেন, "করোনা পরিস্থিতির মধ্যে আমি উৎসাহের সাথে আইপিএলে যোগদান করেছি। এরজন্য আমি হাসি মুখে ৬ দিনের কোয়ারান্টিন এবং ৫'বার কোভিড টেস্টের মধ্যে দিয়ে পেরিয়েছি। কিন্তু গত রাতের শর্ট রানের সিদ্ধান্তে আমি একেবারে খুশি নই। প্রযুক্তিকে খেলার সাথে যুক্ত রাখার অর্থ কি? এবার বিসিসিআইয়ের নতুন নিয়ম সংযোজন করা দরকার। প্রত্যেক বছর একইরকম ভুল চলতে পারে না।" একইসঙ্গে তিনি আরও লিখেছেন,
"আমি খেলায় হার জিতে বিশ্বাসী এবং খেলার উদ্দীপনাকে মান্যতা দি। কিন্তু খেলার নীতি নির্দেশ গুলোকে কিছু ক্ষেত্রে পরিবর্তন করতে হবে। যার জেরে ভবিষ্যতে খেলার মানেরও উন্নতি ঘটবে। সুতরাং ভবিষ্যতে খেলার ইতিবাচক দৃষ্টভঙ্গির দিকে তাকিয়ে রইলাম।"

ম্যাচের ১৯'তম ওভারে যখন পঞ্জাব ১৫৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করছিল, তখন স্কোয়ার লেগে দাঁড়িয়ে থাকা আম্পায়ার নীতিন মেননের বিতর্কমূলক সিদ্ধান্ত সমালোচনার সূত্রপাত ঘটায়। দুই রানের জন্য কাগিসো রাবাদার তৃতীয় বলটি এক্সট্রা কভারের দিকে খেলে দেন ময়ঙ্ক আগরওয়াল। কিন্তু মাঠে উপস্থিত লেগ আম্পায়ার নীতিন মেনন এটিকে শর্ট রানের সিদ্ধান্ত দেন। যদিও রিপ্লেতে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে যে ক্রিস জর্ডন প্রথম রানটি সম্পূর্ণ করেছিলেন।

তবে শুধু প্রীতি জিন্টা নন। বীরেন্দ্র সেওহাগ'ও আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট নন। তিনি বরং মজার পাশাপাশি কটাক্ষ করে ট্যুইট করেছেন, "আমি ম্যান অফ দা ম্যাচের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট নই। যে আম্পায়ার শর্ট রানের সিদ্ধান্ত নেন, তাকেই ম্যাচের নায়ক করা উচিত ছিল। কারণ, ওটা শর্ট রান ছিল না।"