এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক: আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩-এর একটি সেমিফাইনাল সহ মোট ৫ টি ম্যাচ পেতে চলেছে ইডেন গার্ডেন্স। এই ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছিল মঙ্গলবার। এরপরেই বুধবার ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের (সিএবি) সভাপতি স্নেহাশিস গাঙ্গুলিকে পাওয়া গেল একেবারে অন্য মুডে। এক্সট্রা টাইম বাংলাকে দেওয়া একটি একান্ত সাক্ষাৎকারে স্নেহাশিস গাঙ্গুলি বলেছেন যে তিনি প্রাক্তন বিসিসিআই এবং সিএবি সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলির কাছ থেকে পরামর্শ নিতে চান যাতে ম্যাচগুলি সুষ্ঠভাবে আয়োজন করা যায়।

স্নেহাশিস গাঙ্গুলি এক্সট্রা টাইম বাংলাকে জানিয়েছেন, "আমাদের এই কর্মকাণ্ডে অবশ্যই সৌরভ থাকবে এবং সে সবসময় থাকে। তাঁকে ছাড়া ইডেনে কোনও অনুষ্ঠানই সম্ভব নয়। তিনি এই দলেরই একজন সদস্য। সৌরভ গোলাপী বলের টেস্ট ম্যাচ পরীক্ষামূলক ভাবে ও সুষ্ঠভাবে আয়োজন করেছিলেন।”

আরও পড়ুন: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে ভারত

ইডেন গার্ডেন্সে ২৮ শে অক্টোবর বিশ্বকাপের কোয়ালিফায়ার ১-এর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। তারপরে ৩১ শে অক্টোবর পাকিস্তান বনাম বাংলাদেশ। ৫ ই নভেম্বর ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা। ১২ ই নভেম্বর ইংল্যান্ড বনাম পাকিস্তান এবং ১৬ ই নভেম্বর সেমি ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।সেমি ফাইনাল আয়োজনের ক্ষেত্রে কলকাতার নাম কখনই প্রথম সারিতে ছিল না। চেন্নাই এবং বেঙ্গালুরু এগিয়ে ছিল কিন্তু কলকাতা শেষ মুহূর্তে সেমি ফাইনাল ছিনিয়ে নেয় বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহের সৌজন্যে। মঙ্গলবার বিকেলে সিএবি শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে স্নেহাশিস গাঙ্গুলি, জয় শাহের অফিসে দীর্ঘ আলোচনার পর অবশেষে ইডেন গার্ডেন্সকে সেমি ফাইনাল ম্যাচ আয়োজনের জন্য ঘোষণা করেন।

এই বিষয়ে স্নেহাশিস গাঙ্গুলি বলেছেন, “আমি মুম্বাইয়ে উইমেনস প্রিমিয়ার লিগের সময় জয় শাহের সাথে দেখা করি, তখন আমি তাঁকে ইডেনের সুযোগ-সুবিধা এবং আমরা যে মাঠের সংস্কার ও আপগ্রেড করছি সে সম্পর্কে জানিয়েছিলাম। আমি তাঁকে আশ্বস্তও করেছিলাম যে বিশ্বকাপের অনেক আগেই সংস্কারের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। এমনকি আমি তাঁকে ডিজাইন এবং যেভাবে স্টেডিয়ামের কিছু অংশ পুনর্নির্মাণ করতে যাচ্ছি তাও দেখিয়েছিলাম।”

তিনি আরও বলেন, “জয় শাহ আমাদের কাজ দেখে খুশি হয়েছিলেন এবং আমাদের হাই-প্রোফাইল ম্যাচ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। আমি তাঁকে আবারও ধন্যবাদ জানাতে চাই এবং ইডেনে খেলাগুলোকে সফল ভাবে করতে চাই।”

সিএবি সভাপতি পাকিস্তান দলকে পূর্ণ নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়েও আত্মবিশ্বাসী। তিনি বলেন, “আমরা এর আগে পাকিস্তান ম্যাচ আয়োজক করেছি, তাই এটা আমাদের কাছে নতুন কিছু নয়। আমরা নতুন চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত। স্টেডিয়াম ও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাগুলোকে বিশ্বমানের করার জন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব।”

কলকাতায় সম্ভাব্য ভারত-পাকিস্তান সেমি ফাইনাল নিয়ে কথা বলতে গিয়ে স্নেহাশিস গাঙ্গুলি বলেছেন, “এটি একটি দুর্দান্ত সাফল্য হবে। যদি তা হয়, আমরা আত্মবিশ্বাসী এবং আমাদের দেওয়া যেকোনও বড় ম্যাচ আয়োজন করতে আমরা প্রস্তুত।

কলকাতা পুলিশ অন্যতম সেরা হওয়ায় নিরাপত্তার সমস্যা হবে না। এছাড়াও আমরা সবসময় আমাদের প্রিয় মুখ্যমন্ত্রী, শ্রীমতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর পুরো টিমের পূর্ণ সমর্থন পাই আমাদের সমস্ত প্রচেষ্টায়।”

লক্ষ্মী পুজো এবং কালী পুজোয় দুটি হাই প্রোফাইল ম্যাচ পড়ে যাওয়ায় বাড়তি চাপ থাকবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এটি উৎসবের উৎসাহ আরও বাড়িয়ে দেবে। তাই সমস্যা হবে না। ইডেনের জনতা খুবই মার্জিত এবং তারা ভালো ক্রিকেট ভালোবাসে। খেলাগুলো উৎসবের মেজাজ আরও বাড়িয়ে দেবে।"