গাহে তব জয়গাথা, বিশ্বকাপ জয়ের দোরগোড়ায় ভারত

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : দেশের মাটিতে ভারতকে হারানোটা যেন দিবাস্বপ্ন হয়ে উঠেছে। নিউজিল্যান্ড চেষ্টা করেছিল, কিন্তু ওয়াংখেড়ের গর্জন ও ভারতীয় ব্যাটার ও বোলারদের দুরন্ত প্রত্যয় সেমির গাট পেরিয়ে ফাইনালে উঠল টিম ইন্ডিয়া। আর এই জয়ে যতটা কৃতিত্ব বিরাট কোহলি-শ্রেয়াস আইয়ারদের, তার থেকেও বেশি কৃতিত্ব মহম্মদ শামির।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভারতের লক্ষ্যই ছিল ওয়াংখেড়ের পাটা পিচে বড় রান খাড়া করতে। আর তারই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা নিজের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে। কিন্তু ভারতকে বড় রানে নিয়ে যাওয়ার মূল কারিগর বিরাট কোহলি (১১৭) ও শ্রেয়াস আইয়ার (অপরাজিত ১০৫)। ভুলে গেলে চলবে না শুভমন গিলের দুরন্ত ৮০ রানের ইনিংসকেও।
বোল্ট-ফার্গুসন-সাউদি থেকে স্যান্টনার - কাউকে রেয়াত করেননি বিরাটরা, যার ফলে ৫০ ওভারে ৩৯৭/৪ করে টিম ইন্ডিয়া।
৩৯৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা একেই প্রবল চাপের, তার উপর ওয়াংখেড়ে চলতি বিশ্বকাপে রান তাড়া করা দলগুলির মধ্যে মাত্র একবারই এসেছে জয়, আর সর্বোপরি রয়েছে এই ভারতীয় বোলিং লাইনআপ। কিন্তু ড্যারিল মিচেল (১৩৪) ও অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন (৬৯) যেন আশা যুগিয়েছিল কিউইদের। সারা টুর্নামেন্টে দুরন্ত বোলিং করা ভারতীয় বোলারদের যেন একটা খারাপ দিন যাচ্ছিল বুধবার।
কিন্তু এই খারাপ দিনেও উজ্জ্বল মহম্মদ শামি। ৫৭ রানে ৭ উইকেট নিয়ে কিউইদের আশায় জল ঢেলে দেন তিনি। শুরুতে কিউইদের ফর্মে থাকা দুই ওপেনার ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবীন্দ্রকে আউট করেন। তারপর যখন মিচেল ও উইলিয়ামসন হাল ধরেছিলেন, সেই সময়ে এসে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ককে আউট করেন। একই ওভারে আউট করেন টম লাথামকেও। শেষে তুলে নেন মিচেলকেও।
আর এই জয়ে ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩-এর ফাইনালে উঠল ভারত। এখন দেখার, বৃহস্পতিবার কলকাতায় দ্বিতীয় সেমি ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে কারা ১৯ নভেম্বর মুখোমুখি হবে এই অপ্রতিরোধ্য ভারতের বিরুদ্ধে।