নিজস্ব প্রতিনিধি : এবার বাংলা ক্রিকেট মহলেও করোনা ভাইরাস থাবা বসালো। বাংলার প্রাক্তন জোরে বোলার সাগরময় সেনশর্মার শরীরে কোভিড পজিটিভের নমুনা পাওয়া গিয়েছে। ১৯৮৯-৯০ মরসুমে সম্বরণ ব্যানার্জির অধিনায়কত্বে রঞ্জি ট্রফি জয়ী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন এই পেস বোলার। প্রথমশ্রেণীর ক্রিকেটে ৪৭ ম্যাচে ১৪৯'টি উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি লিস্ট-এ'তে ১৯ ম্যাচ খেলে ১৬ উইকেট নিয়েছেন এই বাঁহাতি জোরে বোলার। ১৯৮৭ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত বাংলা ও পূর্বাঞ্চল দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন তিনি।

শোনা গিয়েছে, কয়েক সপ্তাহ আগে সাগরবাবুর স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তিনি সুস্থ হয়ে ঘরে ফেরার পর সাগরময় আক্রান্ত হন। বৃহস্পতিবার তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আপাতত তাঁকে রাজারহাটের কোয়ারইন্টাইন সেন্টার থেকে ইএম বাইপাস সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সিএবির তরফে খবরের সত্যতা স্বীকার করে বলা হয়েছে, বাংলা সিনিয়র দলের অন্যতম নির্বাচক সাগরময়বাবু করোনায় আক্রান্ত জানার পর সিএবিতে রাখা তাঁর সমস্ত জিনিসপত্র বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এমন খবরে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আর তাই এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েই সতর্ক হচ্ছে সিএবি। ক্রিকেটার, কোচ এবং সাপোর্ট স্টাফ সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে তাই একাধিক গাইডলাইন আনতে চলেছে বাংলার ক্রিকেট সংস্থা।

জানা গিয়েছে, এবার থেকে ট্রেনিংয়ের সময় ও ড্রেসিংরুমে থাকাকালীন ক্রিকেটারদের বদলে ফেলতে হবে পুরনো নিয়ম। ট্রেনিংয়ের ক্ষেত্রে যেমন প্রত্যেক ক্রিকেটারকে খেলার ব্যক্তিগত সরঞ্জাম দেওয়া হবে। অর্থাৎ তাঁরা একে অন্যের জিনিস ব্যবহার করবেন না। এছাড়া পুরো টিমকে একসঙ্গে অনুশীলনে নামানো হবে না। গ্রুপে ভাগ করে হবে ট্রেনিং। সোশ্যাল ডিসটেন্সিং বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত। বদলে যাচ্ছে ড্রেসিংরুমের নিয়মকানুনও। আগে ড্রেসিংরুমে খেলার আগে ও পরে জার্সি বদলে অন্য পোশাক পরে নেওয়া যেত। কিন্তু এখন থেকে জার্সি পরেই আসতে হবে। অনুশীলনের পরও তা আর ড্রেসিংরুমে পালটে নেওয়া যাবে না।