বিদেশী খেলোয়াড়দের আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বে না আসা নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি বিসিসিআইয়ের

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মাঝের ১৮-১৯ তারিখ নাগাদ সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে শুরু হবে আইপিএলের দ্বিতীয় পর্ব। তবে টুর্নামেন্টের বাকি ৩১টি ম্যাচ খেলার জন্য বিদেশী খেলোয়াড়দের অনুপস্থিতি বড় ধাক্কা দেবে।
ইতিমধ্যেই ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড জানিয়ে দিয়েছে, নিজেদের কোনও খেলোয়াড়কেই ছাড়বে না তারা। বাকি বিদেশী বোর্ডগুলি হয় ক্রিকেটারদের উপর পুরো বিষয় ছেড়ে দিয়েছে, নইলে এখনও চুড়ান্ত কিছু ভেবে নিতে পারেনি। এবার এই বিষয়ে অত্যন্ত কড়া ভূমিকা নিতে চলেছে বিসিসিআই।
এই নিয়ে বিসিসিআইয়ের এক আধিকারিক স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, যদি বিদেশী খেলোয়াড়রা আইপিএলের এই বাকি ম্যাচ খেলতে না আসেন, তাহলে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা তাদের বেতন কেটে দিতে পারেন। এই নিয়ে সেই আধিকারিক বলেছেন, "হ্যাঁ এটি সত্যি, যদিও বিদেশী খেলোয়াড়রা সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে আইপিএল খেলতে আসতে পারল না, ফ্র্যাঞ্চাইজিদের অধিকার রয়েছে যে তাদের বেতন কেটে কেবল প্রো র্যাটা প্রক্রিয়ায় বাকিটা দেওয়া হবে।"
নিলামের সময়, খেলোয়াড়কে যে বিডে কেনা হয়, সেই বিডের অর্থই হয় তার বেতন, আর সেই বেতন প্রতি মরশুমে চলতে থাকে যতদিন না তিনি আবারও নিলামে উঠছেন। যেমন, প্যাট কামিন্সকে ১৫.৫ কোটি টাকা দিয়ে কিনেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স, ফলে সেই পরিমাণ অর্থই হল তার বেতন। এরপর কর যোগ করে কিছুটা পরিমাণ কমে যায়।
এখন ধরে নেওয়া যাক, যদি কামিন্স আইপিএল খেলতে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে না আসেন, তাহলে তার বেতনের অর্ধেক কাটতে পারবে কেকেআর। কারণ অর্ধেক টুর্নামেন্ট খেলা হয়ে গিয়েছে। ফলে ১৫.৫ কোটির বদলে ৭.৭৫ কোটি টাকা পাবেন কামিন্স। এবং এর জেরে খেলোয়াড়দের বেতনের যে কিছু পরিমাণ অর্থ সে দেশের ক্রিকেট বোর্ড পেত, তাও কমে যাবে। ফলে খেলোয়াড় সহ সেই দেশের ক্রিকেট বোর্ডের সমস্যা।