প্রত্যয়ী ল্যাথাম , লড়েও হার তামিম বাহিনীর

মার্চ ২৩ : প্রথম ম্যাচে দুরমুশ হওয়ার পর দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর দৃঢ় চেষ্টা করেছিল বাংলাদেশ । কিন্তু একদিকে তম ল্যাথামের চওড়া ব্যাট ও অন্যদিকে ফিল্ডিংয়ের দৈন্যদশায় ডুবলো বাংলাদেশের ইতিহাস রচনার স্বপ্ন। ক্রাইস্টচার্চে দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচ পাঁচ উইকেটে জিতে তিন ম্যাচের সিরিজ পকেটে পুরে নিল নিউজিল্যান্ড ।
এদিন টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করতে পাঠান কিউই অধিনায়ক টম ল্যাথাম । শুরুতেই লিটন দাস প্যাভিলিয়নে ফিরলেও লড়াই শুরু করেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল । সৌম্য সরকার ও মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ ম্যাচে ফেরান তিনি । কিন্তু ভাগ্য শেষ পর্যন্ত সুপ্রসন্ন ছিল না তাঁর , নিশামের রীতিমতো ফুটবলের কায়দায় বল উইকেটে ঠেলে ব্যক্তিগত ৭৮ রানের মাথায় রান আউট করেন তামিমকে । তবে তামিম ফিরলে হাল ধরেন মিঠুন । তাঁর ৫৭ বলে ৭৩ রানের দাপুটে ইনিংসে ২৭১ রানে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বেশ বেকায়দায় ছিল নিউজিল্যান্ড । ৫৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো ধুঁকতে থাকে কিউইরা । কিন্তু এরপরই কনওয়ের (৭২) সাথে জুটি বেঁধে , ধীর স্থির ব্যাটিংয়ে নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচে ফেরান অধিনায়ক ল্যাথাম । কনওয়ে ফিরতে ল্যাথামকে সঙ্গ দেন জিমি নিশাম (৩০) । তবে মোক্ষম সময়ে ৩৬ ওভারে প্রথমে মুশফিকুর নিশামের ও তারপর ৩৭ ও ৩৮ তম ওভারে পর পর দুবার ল্যথামের ক্যাচ ফসকান মেহেদী । শেষ পর্যন্ত ১০৮ বলে ১১০ রানের ইনিংস খেলে নিউজিল্যান্ডকে বৈতরণী পার করান কিউই অধিনায়ক ল্যাথাম । ৫ উইকেট হাতে নিয়ে দশ বল বাকি থাকতেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড।
সবমিলিয়ে ইতিহাস তৈরির সুযোগ হারিয়ে দৃশ্যতই হতাশ বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল । ম্যাচ শেষে রাখঢাক না করেই বলে গেলেন , জিততে গেলে সব বিভাগেই ১০০% দিতে হয় । ভালো ব্যাট - বল করেও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ক্যাচ ফসকালে ম্যাচ জেতা অসম্ভব - স্পষ্ট স্বীকারোক্তি বাংলাদেশ অধিনায়কের ।