এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : নেপোটিজমের কথা আজকের দিনে প্রচুর উঠে আসে, কিন্তু শুধু নেপোটিজমের জোরে কোনও তারকাই টিকে থাকতে পারেন না সর্বোচ্চ পর্যায়ে। এর জন্য প্রয়োজন পরিশ্রম ও আত্মত্যাগ। এবং এই আত্মত্যাগ করেই পাকিস্তান জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন হার্ড হিটার ব্যাটসম্যান আজম খান।

ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের জন্য টেস্ট, ওয়ানডে ও টি২০ আন্তর্জাতিকের দল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। আর এই দলে একমাত্র নতুন মুখ হিসেবে এসেছেন আজম খান, ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে যথাক্রমে তিন ও পাঁচ ম্যাচের টি২০ সিরিজে সুযোগ পেয়েছেন আজম।

তবে কেবল হার্ড হিটার ব্যাটসম্যান হিসেবেই তার নাম নেই, তার আরও একটি বড় পরিচয় রয়েছে। তিনি কিংবদন্তী পাক ক্রিকেটার মইন খানের ছেলে। কিন্তু শুধু বাবার জোরেই জাতীয় দলে সুযোগ পাননি আজম। কঠিন পরিশ্রম ও পারফর্মেন্সের মাধ্যমে তিনি এই জায়গা অর্জন করেছেন।

গত পাকিস্তান সুপার লিগে পাঁচ ম্যাচে মাত্র ৯৮ রান করেছিলেন আজম, তবে একেবারে লোয়ার মিডল অর্ডারে ফিনিশার হিসেবে খেলায় সেভাবে সুযোগ পাননি ব্যাটিংয়ের। কিন্তু তার স্ট্রাইক রেট ছিল ১৪৪ এর কাছাকাছি। আর তারপরেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচকদের চোখে পড়েন তিনি। প্রথম বল থেকে মারার ক্ষমতা রাখেন আজম।

তবে নজরে পড়লেও একটি কারণেই এত দেরিতে জাতীয় দলে ডাক পেলেন আজম, আর তা হল তার ফিটনেস। গত বছর ১৩০ কেজি ওজন ছিল আজমের। কিন্তু জাতীয় দলে সুযোগ পেতে মেদ ঝরিয়ে নেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন আজম। এবং রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ১২ মাসে ৩০ কেজির বেশি ওজন ঝরিয়ে ফেলেছেন আজম।

বর্তমানে পাকিস্তান সুপার লিগে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে খেলতে আবু ধাবি গিয়েছেন আজম। টি২০ কেরিয়ারে তার স্ট্রাইক রেট ১৫৭.৪১, যেখানে তিনি ৪৫টি ছয় মেরেছেন ৩৬টি টি২০ ম্যাচে। সুতরাং ফিনিশার হিসেবে অত্যন্ত উপযোগী এক অস্ত্র পেয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট।