নিজস্ব প্রতিনিধি : করোনা ভাইরাস পরবর্তী অধ্যায়ে ক্রিকেটের নিয়মকানুনে একাধিক বদল হলেও, বাংলা সিনিয়র দলের কোচের ক্ষেত্রে কোনও বদল হল না। অরুণ লালের হাতেই যে দলের দায়িত্ব থাকবে সেটা আগে থেকেই জানা ছিল। সোমবার সেই বিষয়ে সিলমোহর দিয়ে দিলেন সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া। শুধু তাই নয়। সাপোর্ট স্টাফের ক্ষেত্রেও কোনও রদবদল ঘটেনি। অর্থাৎ স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে উৎপল চ্যাটার্জি থেকে যাওয়ার পাশাপাশি বোলিং কোচ হিসেবে কাজ চালিয়ে যাবেন রণদেব বোস। বোলিং কোচ হিসেবে মনোজ প্রভাকরের নাম ঘোরাফেরা করলেও, সিএবি প্রাক্তন বঙ্গ পেসারের উপরই ভরসা রাখল। কারণ, গত রঞ্জি মরসুমে রণদেবের কোচিংয়ে পেস বিভাগ দারুণ পারফরম্যান্স করেছে। পাশাপাশি নতুন উইকেটকিপার তুলে আনার ক্ষেত্রে প্রাক্তন জাতীয় ক্রিকেটার দীপ দাশগুপ্তকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তরুণ উইকেটকিপারদের নিয়ে তিনি ক্লিনিক করবেন।

গত মরসুমে মুস্তাক আলী টি-টিয়েন্টি ও বিজয় হাজারে ট্রফিতে চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছিল বঙ্গব্রিগেড। তবে সব বাধা টপকে রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে গিয়েছিল অভিমন্যু ঈশ্বরণের দল। যদিও ফাইনালে উঠলেই প্রতি ম্যাচেই ব্যাটিং ব্যর্থতার সামনে পড়েছে বাংলা। তাই হনুমা বিহারী, করুন নায়ারের মত ভিনরাজ্যের ব্যাটসম্যানদের নেওয়ার চিন্তাভাবনা করেছিল সিএবি। তবে এই দুই ব্যাটসম্যান নন। বরং এদিনের আলোচনায় ভিনরাজ্যের অন্য একজন ব্যাটসম্যানকে নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে। সিএবি সভাপতি বলেছেন, "করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেও বঙ্গ ক্রিকেটের রূপরেখা নিয়ে আমাদের বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এবং আশাকরি এই আলোচনার ফল সুদূরপ্রসারী হবে।"

সোমবার থেকে খাতায়-কলমে নতুন ইনিংস শুরু করলেও, লকডাউনের এই সময় অন-লাইনে ক্রিকেটারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন কোচ অরুণ লাল। তিনি বলেন, "আমরা নিয়মিত অন-লাইন ট্রেনিং করছি। সকালে পেস বোলারদের নিয়ে ট্রেনিংয়ের পর বিকেলে স্পিনারদের নিয়ে আমাদের ফিজিও ট্রেনিং করছে। ভিভিএস লক্ষ্মণ মাঝেমধ্যে অন-লাইন ক্লাসে ব্যাটসম্যানদের সাহায্য করছে। আসলে যতদিন না মাঠে নামতে পারছি ততদিন আমাদের এভাবেই ধীরে ধীরে এগোতে হবে।"

কিন্তু গত মরসুমের ব্যাটিং ব্যর্থতা কি চিন্তার কারণ নয়? ফাইটার লালের প্রতিক্রিয়া, "আপাতত আমাদের কাছে যা আছে সেটা নিয়েই এগোতে হবে। সিএবি'ও সাধ্যমত চেষ্টা করছে। দেখা যাক কি হয়। তবে শুধু ব্যাটিং নয়। পুরো মরসুম দাপটের সঙ্গে খেলতে হলে আমাদের ফিটনেসের শিখরে যেতেই হবে। আমার পরিষ্কার কথা। ফিটনেস ও ফর্ম যে বজায় রাখতে পারবে সে খেলবে। আমার দলে কেউ অপরিহার্য নয়।"

তাহলে কি দাঁড়াল! ভিনরাজ্যের ক্রিকেটারের নাম এখনই প্রকাশ করতে চাইছে না সিএবি। তবে সেই ক্রিকেটার যে আসন্ন মরসুমে বঙ্গ ড্রেসিংরুমের অংশ হবেন না, সেটা একেবারে উড়িয়েও দেওয়া যাচ্ছে না।