ফুল ফুটল বাগানে, বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন এটিকে মোহনবাগান

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক: দীর্ঘ ৫ মাসের লড়াই শেষে শনিবার আইএসএলের ফাইনালে গোয়ার পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল এটিকে মোহনবাগান ও বেঙ্গালুরু এফসি। নিজেদের সমৃদ্ধ ইতিহাসে আরও একটি মুকুট যোগ করার লক্ষ্যে এটিকে মোহনবাগান আইএসএল ফাইনালে নামে।
অন্যদিকে, বেঙ্গালুরুর লক্ষ্য ছিল টুর্নামেন্টের অন্যতম আধিপত্যশালী দল হিসেবে নিজেদের মর্যাদা ফিরে পাওয়া।
তবে শেষ হাসি হাসলেন জুয়ান ফেরান্দোর এটিকে মোহনবাগান। ২০২২-২৩ আইএসএল চ্যাম্পিয়ন সবুজ মেরুন ব্রিগেড।
এদিন ম্যাচে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে দুই দল। ফাইনালে সবুজ মেরুন জার্সি গায়ে এদিন দেখা গিয়েছিল আসিক কুরুনিয়ানকে। বেঙ্গালুরুর হয়ে এদিন প্রথম থেকে মাঠে নামেননি সুনীল ছেত্রী কিন্তু ৩ মিনিটের মাথায় তার সতীর্থ চোট পেলে তিনি নামেন। শুরু থেকেই মুহুর্মুহু আক্রমণ করে দুই দল। ম্যাচের ১৪ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে দলের হয়ে প্রথম গোল এনে দেন দিমিত্রি পত্রেতাস। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান।
এরপর দুই উইং থেকে ক্রমাগত আক্রমণ করতে থাকে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। অন্যদিকে বেঙ্গালুরুও প্রতি আক্রমণ চালায়। কিন্তু এটিকে মোহনবাগানের শক্ত রক্ষণভাগে বারংবার প্রতিহত হচ্ছিল সুনীলের বেঙ্গালুরু।
তবে প্রথমার্ধের একদম শেষ দিকে শুভাশিসের করা ফাউলে পেনাল্টি পায় বেঙ্গালুরু। পেনাল্টি মিস করেননি সুনীল ছেত্রী। তাঁর গোল বেঙ্গালুরুকে সমতায় ফেরায়।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য শুরু থেকে আক্রমণাত্মক খেলতে দেখা যায়নি দুই দলকেই। নিজেদের মধ্যে ছোট ছোট পাশে খেলছিল দুই দল। কিন্তু হঠাৎই ম্যাচের ৭৮ মিনিটের মাথায় সবুজ-মেরুনের প্রাক্তন সতির্থ রয় কৃষ্ণার হেডে ব্যবধান বাড়ায় বেঙ্গালুরু। ম্যাচের ফলাফল তখন ২-১।
এরপর ম্যাচে ফিরতে মরিয়া ছিল মোহনবাগান। ৮৩ মিনিটে ফের পেনাল্টির সুযোগ পায় মোহনবাগান। দিমিত্রি পেত্রাতোসের গোলে ফের সমতায় ফেরে এটিকে মোহনবাগান। ম্যাচের ফলাফল হয় ২-২।
এরপরও একাধিকবার গোলের সুযোগ পায় মোহনবাগান। মানবীর সিং ম্যাচের একবারে ইঞ্জুরি টাইমে প্রায় গোল করে দিয়েছিলেন কিন্তু প্রবীর দাসের দুর্দান্ত ডিফেন্স আটকে দেয়। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয় ২-২ গোলে। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
অতিরিক্ত সময় দুই দলই আক্রমণ চালায়। একাধিক বার গোলের সুবর্ণ সুযোগ মিস করে সবুজ মেরুন ব্রিগেড। ১০৬ মিনিটের মাথায় বিপজ্জনকভাবে রয় কৃষ্ণার হেড বারের উপর দিয়ে চলে যায়। ১০৯ মিনিটের মাথায় দিমিত্রি পত্রেতাসের ভাসানো বল মানবীর সিং হেড করলে বারের ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায় বল।
আইএসএল ট্রফির বিজয়ী নির্ধারিত হয় পেনাল্টি শুট আউট থেকে। ৪-৩ ফলাফলে এটিকে মোহনবাগানের পক্ষে শেষ হয় পেনাল্টি শুট আউট। আইএসএলের সোনার হাত ধরেই আইএসএল ঘরে ঢুকল মোহনবাগান তাঁবুতে। বিশাল কাইথের সেভ ভাগ্য গড়ে দিল আইএসএল ফাইনালের।