এক থালা ভাত আর লাল-হলুদ জার্সি তুলে দিন। সুভাষ ভৌমিককে বলেছিলেন ষষ্ঠী...

নিজস্ব প্রতিনিধি: ভারতীয় ফুটবলে ওই উন্মাদনা আর কখনও আসবে কি না, জানি না। এক্সট্রাটাইম বাংলার ফুটবল শো'তে এসে একথা জানিয়ে দিলেন প্রাক্তন ফুটবলার ষষ্ঠী দুলে। তিনি বলেন, আসিয়ান কাপ জিতে কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে দেখি, আমাদের জন্য এক লক্ষ মানুষ অপেক্ষা করছে। আমাদের একটু ছুঁয়ে দেখবে বলে। শৈলেন মান্না, চুনী গোস্বামী নমস্য ফুটবলার। কিন্তু ওনাদের ঘিরেও বোধহয়, এমন উন্মাদনা হয় নি আগে।
বেকতেরোর বিরুদ্ধে ফাইনাল খেলতে নামার আগে একটি ঘটনা মনে করিয়ে ষষ্ঠী দুলে বলেন, "ড্রেসিংরুমে সুভাষ ভৌমিক বলেছিলেন, ওদের চাইম্যানই আসল গেমমেকার। ওকে অফ করে দিলে, ম্যাচ তোমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এখন বলো কে চাইম্যানকে রাখবে? হাত তোলো। সেই সময় আমি ছাড়া কেউ হাত তোলে নি।"
ষষ্ঠীর শুধু এক থালা ভাত চাই। তাহলে জীবনে যত কঠিন কাজই হোক না কেন, অনায়াসে করে ফেলেন তিনি। ফাইনালের আগের দিন তাই সুভাষ ভৌমিককে ডেকে ষষ্ঠী দুলে বলেছিলেন, এক থালা ভাত দেবেন, আর লাল-হলুদ জার্সিটা তুলে দেবেন। আপনার কাজ শেষ।
এমন কি সল্টলেক স্টেডিয়ামের লাগোয়া পাঁচতারা হোটেলে থাকার সময়ও, রাতে লুকিয়ে লুকিয়ে ঝুপরির হোটেলে ভাত খেতে যেতেন ষষ্ঠী। দীপঙ্কর রায়কে নিয়ে। পাঁচ তারা হোটেলের ওই যে পাস্তা খেত দিত। ওই সব পোষাত না ষষ্ঠীর।
খেলোয়াড় জীবনে ড্রেসিংরুমে কাউকে ঢুকতে দিতেন না ষষ্ঠী। তার কারণ হিসেবে তিনি বলছিলেন, অনুশীলনের পর আমরা ইচ্ছা করে ড্রেসিংরুমে অনেকেই উলঙ্গ হয়ে থাকতাম। যাতে কোচ, কর্তারা ঢুকতে না পারেন। কারণ ড্রেসিংরুমটা প্লেয়ারদের জন্য।
খেলোয়াড় জীবনে অত্যন্ত ডাকাবুকো ছিলেন ষষ্ঠী। এই জন্য পিকে ব্যানার্জি বলতেন, ষষ্ঠীকে আটকাতে দুটো ফুটবলার লাগবে। আর সুব্রত ভট্টাচার্য তাঁকে শুধু বকতেন, আর বলতেন, এই তুই ব্যারেটোকে অতো মারিস কেন!
এখন তিনি ইস্টবেঙ্গলের একদম জুনিয়রদের অনুশীলন করান। অফিস থেকে সোজা চলে আসেন ক্লাবে। মালিদের সঙ্গে ভাত খেয়ে নেমে পড়েন মাঠে।