ভারতের ফুটবল উন্নয়ন কীভাবে সম্ভব? দেশে এসে আশার বার্তা দিলেন আর্সেন ওয়েঙ্গার

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : সোমবার ভারতে এসেছেন কিংবদন্তি প্রশিক্ষক ও ফিফার বৈশ্বিক ফুটবল উন্নয়নের প্রধান আর্সেন ওয়েঙ্গার। মূলত ভারতে যুব ফুটবল ও ভুবনেশ্বরে এআইএফএফ-ফিফা অ্যাকাডেমির উদ্বোধনের জন্য তিন দিনের সফরে এসেছেন ওয়েঙ্গার ও তার দল। সোমবার ফুটবল হাউসে এসে দেশের বিশেষ কিছু ফুটবল অ্যাকাডেমির সাথে আলোচনা করেন ওয়েঙ্গার।
আরও পড়ুন - বিশ্বকাপ ফাইনাল জিতিয়ে বিপদে পড়ল ট্র্যাভিস হেডের পরিবার!
আলোচনা শেষে ওয়েঙ্গার বলেছেন, "আমায় বলতেই হবে আমি ভারতে এসে মুগ্ধ। আমার লক্ষ্য হল বিশ্বের ফুটবলকে উন্নত করার। এবং ভারতের মত দেশ, যার জনসংখ্যা ১৪০ কোটি, তারা ফুটবল মানচিত্রে থাকবে না, এটা হতেই পারে না।"
"আমি মনে করি আপনাদের কাছে প্রচুর সম্পদ ও অসাধারণ গুণ রয়েছে, যা আমায় খুবই ইতিবাচক করেছে যে আপনারা কি করতে পারেন। খুবই ভালো লাগছে এমন সুযোগ পেয়ে। আমার দলকে নিয়ে, আমরা মুখিয়ে রয়েছি যাতে এই দেশ এই খেলায় উন্নতি করতে পারে। আমি নিশ্চিত যে অল্প সময়ে এটি সম্ভব।"
আরও পড়ুন - বিশ্বকাপ ফাইনাল হারের পর ভারতের ড্রেসিংরুমে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
কিন্তু কিভাবে এই উন্নতি সম্ভব? এই নিয়ে ওয়েঙ্গার বলেছেন, "১৯৯৫ সালে জাপান যখন তাদের ফুটবলের শুরুতে ছিল, আমি সেই সময়ে ওখানে গিয়েছিলাম। ১৯৯৮ সালে, ওরা বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করেছিল। ফলে এটি সম্ভব। আপনাকে অনেক আগে থেকে শুরু করতে হবে।"
"২০৩০ সালে ফুটবল কেমন হবে? কিভাবে আমরা ভাবব যে ২০৩০ সালে আমাদের কতটা মান দরকার? কিন্তু যেটি সম্ভব, সেটি হল আমাদের টেকনিকে শুরু করতে হবে। ফুটবল টেকনিক্যাল খেলা। ৫ থেকে ১৫ বছর বয়সী খেলোয়াড়দের নিয়ে সেরা উপায়ে তাদের গড়ে তুলতে হবে। সোজা কথায়, বিষয়টি সরল করতে গেলে, বলকে তার বন্ধু করতে হবে। বাকি সব পরে উন্নত হবে। আর সেটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।"
আরও পড়ুন - বিশ্বজয় করতে কোটি-কোটি টাকার প্রস্তাব ছেড়েছিলেন প্যাট কামিন্স
"তাই, এখান থেকেই আমাদের শুরু করতে হবে এবং সেখান থেকেই আমাদের তরুণ খেলোয়াড়দের সাহায্য করতে হবে। আমাদের পরিকল্পনার শুরু হবে প্রতিভা অন্বেষণ করার মধ্যে দিয়ে এবং তারপর সেরা প্রতিভাগুলিকে এক সাথে রাখতে হবে।"
শেষে ভারতের কাঙ্খিত লক্ষ্য নিয়ে ওয়েঙ্গার বলেছেন, "যদি আমরা ভালো করে কাজ করতে পারি তাহলে সম্ভাবনা রয়েছে। আর আমার প্রধান লক্ষ্য হল মানুষকে বোঝানোর যে এখানে সোনার খনি রয়েছে, কিন্তু এই মুহুর্তে সেটি পুরোপুরি সন্ধান পাওয়া যায়নি, তুলে আনা যায়নি আর সেটি নিয়ে কাজ করা যায়নি।"