খারাপ রেফারিং ও দূর্বল ডিফেন্সের সৌজন্যে মারডেকা কাপ থেকে বিদায় ভারতের

মালয়েশিয়া - ৪ (ডিওন কুলস, আরিফ আইমান - পেনাল্টি, ফয়জল হালিম, লরেন্স করবিন-ওং)
ভারত - ২ (নাওরেম মহেশ সিং, সুনীল ছেত্রী)
এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : শুক্রবার কুয়ালামাপুরে মারডেকা কাপের প্রথম ম্যাচে আয়োজক মালয়েশিয়ার কাছে হেরে বিদায় নিল ভারত। এই হারের জন্য ৭০ শতাংশ যদি দায়ী হয়ে থাকে দূর্বল ডিফেন্ডিং, তাহলে ৩০ শতাংশ হবে অত্যন্ত নিম্নমানের রেফারিং।
আরও পড়ুন - পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে ফিরতে চলেছেন শুভমন গিল
আনোয়ার আলি চোটের কারণে না থাকায় এই ম্যাচে শুরু থেকে খেলেন মেহতাব সিং। এবং ম্যাচে একাধিকবার ভুল করেন মুম্বাই সিটির এই তারকা ডিফেন্ডার। এমনকি সাইডব্যাকে নিয়মিত খেলা নিখিল পুজারিও অত্যন্ত খারাপ খেলেন।
৪০ হাজার দর্শকে ভরা বুকিত জালিল জাতীয় স্টেডিয়ামে মালয়েশিয়া আক্রমণের ঝড় তুলেছিল ভারতের রক্ষণে। ৭ মিনিটে এগিয়ে যায় মালয়েশিয়া, এন্ড্রিকের পাস থেকে দুরন্ত ভলিতে গোল করেন ডিওন কুলস। কিন্তু গোলের পর ভারত দুরন্তভাবে ঘুরে দাঁড়ায়। ১৪ মিনিটে লালিয়ানজুয়ালা ছাংতে বল বক্সে রাখেন, সেখান থেকে সাহাল আব্দুল সামাদ দুরন্ত উপায়ে বল সাজিয়ে দেন নাওরেম মহেশ সিংয়ের জন্য, যিনি জোরালো ভলিতে ভারতকে সমতায় ফেরান।
আরও পড়ুন - ৭-০ রেকর্ড ভাঙার ইঙ্গিত দিলেন বাবর আজম
সমতায় ফেরার পরেও মালয়েশিয়ার আক্রমণকে সামলাতে পারছিল না ভারতীয় রক্ষণ। ১৯ মিনিটে নিজেদের বক্সে মালয়েশিয়ার ড্যারেনকে ফাউল করেন নিখিল পুজারি, যার ফলে রেফারি পেনাল্টি দেন। গুরপ্রীত সিং সান্ধু সঠিক দিকে ঝাঁপালেও গোল করতে ভুল করেননি আরিফ আইমান। এরপর লাগাতার আক্রমণের পর ৪২ মিনিটে আবারও গোল পায় মালয়েশিয়া। আরিফের ক্রমাগত প্রেসিংয়ে মেহতাব সিং বল হারান, যা পেয়ে আরিফ বাড়ান ফয়জল হালিমের উদ্দেশ্যে, যিনি গুরপ্রীতের পাশ দিয়ে গোল করেন।
এরপর দ্বিতীয়ার্ধে ভারত খেলায় ফিরে আসার চেষ্টা করে। ৫১ মিনিটে গোল করে আশা জাগায় ভারত। বামদিক থেকে নাওরেম দুরন্তভাবে এগিয়ে এসে বল বাড়ান ছাংতের উদ্দেশ্যে, সেখান থেকে সুনীল ছেত্রীকে বল দেন তিনি, যা থেকে গোল করেন সুনীল।
আরও পড়ুন - বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান মহারণের জন্য আহমেদাবাদে নিরাপত্তা চরমে
এরপর ৫৭ মিনিটে ভারত সমতায় ফিরতে পারত, কিন্তু রেফারির সৌজন্যে তা হয়নি। ছাংতের শট আহমাদের গায়ে লেগে গোলে ঢুকতে যায়, সেই সময়ে কুলস সেটি ক্লিয়ার করেন। কিন্তু রিপ্লেতে পরিষ্কার দেখা গিয়েছে বলটি গোললাইন অতিক্রম করেছিল। এই নিয়ে লাইন্সম্যান ও চতুর্থ অফিশিয়ালের সাথে তর্ক জুড়ে দেন ভারত হেড কোচ ইগর স্টিম্যাচ সহ গোটা রিজার্ভ বেঞ্চ।
এমন গোল না দেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই ভারতের মানসিকতায় বড় আঘাত এসেছিল। এর ফলে ৬১ মিনিটে মালয়েশিয়ার ব্যবধান বাড়ান লরেন্স করবিন-ওং। এদিকে ৬৯ মিনিটে ছাংতের শট ক্রসবারে লাগে। শেষের দিকে ভারত মরিয়া চেষ্টা করে দুটি গোল করে সমতায় ফিরতে, কিন্তু তা আর হয় না।