আইপিএল থেকে কেকেআরের ছিটকে যাওয়ায় খুশি হয়েছিলেন জসপ্রীত বুমরাহ! কিন্তু কেন?

Photo-X
এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্কঃ জসপ্রীত বুমরাহকে গোটা বিশ্ব চেনে একজন দুর্দান্ত পেসার হিসেবে — যিনি ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা বোলার হিসেবে পরিচিত। তবে তাঁর প্রেমকাহিনী যেন এক রূপকথার গল্প, যার শুরুও হয়েছে ক্রিকেট মাঠ থেকেই। ৩১ বছর বয়সি বুমরাহ বিয়ে করেছেন ভারতের জনপ্রিয় স্পোর্টস অ্যাঙ্কর সঞ্জনা গনেশনকে।
দু’জনে এর আগেই জানিয়েছিলেন, তাঁদের প্রথম পরিচয় হয়েছিল ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের সময়। তখন সঞ্জনা অফিসিয়াল ব্রডকাস্টারের হয়ে কাজ করছিলেন এবং বুমরাহ ছিলেন বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলে।
সম্প্রতি তাঁরা জানিয়েছেন, ২০২০ সালের নভেম্বরে আইপিএলের সময়ই বুমরাহ সঞ্জনাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। সেবার আইপিএল হয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে, কড়া কোভিড প্রোটোকলের মধ্যে, যেখানে প্রত্যেকটি দল এবং সংবাদমাধ্যম আলাদা বায়ো-বাবলে ছিল। তখন বুমরাহ খেলছিলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে, যারা সেই বছর শিরোপা জেতে। অন্যদিকে সঞ্জনা ছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের বায়ো-বাবলে এবং একটি বিশেষ শো সঞ্চালনা করছিলেন, যেখানে খেলোয়াড়দের মাঠের বাইরের যাত্রা তুলে ধরা হত।
সম্প্রতি হরভজন সিং ও গীতা বসরার ইউটিউব শো ‘হু ইজ দ্য বস’-এ তাঁরা বলেন, কেকেআর লিগ পর্যায়েই ছিটকে যাওয়ায় বুমরাহ টিম ম্যানেজমেন্টকে অনুরোধ করেন যেন এক বাবল থেকে আরেক বাবলে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় — যাতে তিনি সঞ্জনাকে প্রস্তাব দিতে পারেন। কারণ মুম্বই ও কেকেআর দুটি দলই তখন আবু ধাবিতে একই হোটেলে ছিল।
বুমরাহ বলেন, "সেটা ছিল কোভিডের সময়। প্রতিটি দলের আলাদা বাবল ছিল। ভাগ্য ভালো ছিল, ও কেকেআরে আর আমি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে। দু’জনেই আবু ধাবিতে ছিলাম। আমি রিং নিয়ে গেছিলাম এই আশায় যে টুর্নামেন্টটা ওর (কেকেআরের) আগেভাগে শেষ হবে। পুরো টুর্নামেন্টে দেখা হয়নি, শুধু মাঠে দূর থেকে দেখা হত। যখন ও ছিটকে গেল, আমি খুশি হয়েছিলাম!"
সঞ্জনা হাসতে হাসতে বলেন,"আমি ছিটকে যাওয়ায় ও-ই একমাত্র খুশি ছিল!"
বুমরাহ আরও জানান, "আমি নিজেই সব কিছু করেছিলাম। কাউকে জানাতে চাইনি। কেক নিজেই কিনেছিলাম। নিজেই রুম সাজিয়েছিলাম।"
সঞ্জনা বলেন, "আমি রুমে ঢুকেই জল চাইছিলাম। ও বলল, ‘না না, বালকনিতে যাও।’ পরে দেখি, বালকনির পাশে মোমবাতি জ্বলছে। কিন্তু বাতাসে তা নিভে যাচ্ছিল।"
বুমরাহ বলেন, "সাগরের পাশে ছিল, বাতাসের জন্য মোমবাতি নিভে যাচ্ছিল। খুব কষ্ট করে সব ব্যবস্থা করেছিলাম।"
সঞ্জনা যোগ করেন, "ও একটা তোয়ালে টাঙিয়ে রেখেছিল বাতাস আটকাতে!"
এর কিছু মাস পর, ২০২১ সালের মার্চে গোয়াতে বিয়ে করেন বুমরাহ ও সঞ্জনা। পরে ২০২৩ সালের ৪ঠা সেপ্টেম্বর তাঁদের পুত্রসন্তান অঙ্গদের জন্ম হয়।