এমেকার খেলা এখনও চোখে লেগে রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন ফুটবলার বলাই মুখার্জির...

নিজস্ব প্রতিনিধি: ইস্টার্ন রেলের গার্ডের চাকরি ছেড়ে খিদিরপুর ক্লাব হয়ে ইস্টবেঙ্গলে এসেছিলেন তিনি। ৮৫ সালে লাল-হলুদের অধিনায়ক ছিলেন ছোট্ট-খাট্টো চেহারার এই প্রাক্তন সাইড ব্যাক ফুটবলার। কিন্তু ছোট চেহারায় কী করে সম্ভব হল, বড় দলের জার্সি গায়ে চাপিয়ে খেলা? এক্সট্রাটাইম বাংলার ফুটবল শো'তে এসে সেটাই জানালেন প্রাক্তন ফুটবলার বলাই মুখার্জি। তিনি বলেছিলেন, "মনের জোর আর সতীর্থদের সহযোগিতা এটা সম্ভব হয়েছে। চিন্ময়দারা সাইড ব্যাকে খেলতেন। কিন্তু আমাকে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য মাঝে মাঝে স্টপারে চলে যেতেন। সিনিয়রদের আত্মত্যাগ কখনও ভুলব না।"
১৯৮৫ সালে তাঁর অধিনায়কত্বে বেশ কিছু ট্রফি জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। তার মধ্যে বেঙ্গালুরুতে ফেডারেশন কাপ জেতাটা বেশ মনে আছে তাঁর। বলাই মুখার্জি বলছিলেন, "একমাস ধরে চলেছিল সেই ফেডারেশন কাপটা। ডাবল সেমিফাইনাল হয়েছিল। প্রথম সেমিফাইনালে আমরা বিএসএফ কাছে ১-০ গোলে হেরে যাই। প্রদীপদার মুখ অ্যাটোম বোমের মত ফুলে আছে। দ্বিতীয় সেমিফাইনাল খেলতে নামার আগে মাঠে তো অনুশীলন করতামই, তার সঙ্গে হোটেলের ছাদেও লাইট জ্বালিয়ে অনুশীলন করাতেন তিনি। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বিএসএফকে তিন গোলে হারিয়ে ছিলাম।"
তবে তিনি অনেক বিদেশি ফুটবলারকেই দেখেছেন, খেলেছেনও তাঁদের সঙ্গে। তাঁর দেখা সেরা বিদেশি ফুটবলার এমেকা ইউজুগো। একটি ঘটনাও উল্লেখ করেন ইস্টবেঙ্গলের এই প্রাক্তন সাইডব্যাক। তিনি বলেন, "৮৭ সালে শিল্ডের কোয়ার্টার ফাইনাল। নাইজেরিয়ার লিভানটিসের সঙ্গে খেলা। ছ' ফুটের কাছাকাছি ওদের সব ফুটবলারের উচ্চতা। আমি ওদের কোমরের হাইটে। ওদের সঙ্গে অসাধারণ ফুটবল খেলে জিতেছিলাম আমরা। আমাদের হয়ে একাই খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল এমেকা ইউজুগো। ম্যাচের পরে ওদেরই হারিয়ে ওদেরই পতাকা নিয়ে ঘুরছে এমেকা। কী আর করবে, সবই তো ওদের স্বদেশি ভাই! একমাত্র ও, কলকাতা ময়দানে খেলে নাইজেরিয়ার হয়ে বিশ্বকাপ খেলেছে। অনেক বড় মাপের ফুটবলার।"