কেরালা ব্লাস্টার্সের দাবি নস্যাৎ করল AIFF! পেতে চলেছে বড়সড় শাস্তি

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : সোমবার সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন (AIFF) এর শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি জরুরি বৈঠকে বসে, যেখানে চলতি আইএসএলের প্রথম প্লেঅফসে বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে কেরালা ব্লাস্টার্সের মাঠ ছেড়ে চলে যাওয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কেরালা ব্লাস্টার্স সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের কাছে অনুরোধ করেছিল, এই ম্যাচ যেন পুনরায় খেলা হয় এবং সেই ম্যাচে রেফারির দায়িত্বে থাকা ক্রিস্টাল জনকে যেন নির্বাসিত করা হয়। সর্বভারতীয় এক মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, কেরালার এই দাবিকে সোমবার নস্যাৎ করেছে এআইএফএফ শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি।
বৈভব গজ্ঞরের নেতৃত্বে এই শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির নেওয়া সিদ্ধান্ত মঙ্গলবার প্রকাশিত হবে। এই বৈঠকে দুই দলের প্রতিনিধি ও রেফারি ক্রিস্টাল জন উপস্থিত ছিলেন।
সর্বভারতীয় এক মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, শুনানিতে কেরালার অধিনায়ক আদ্রিয়ান লুনা জানান, রেফারি তাকে পিছিয়ে যেতে বলেছিলেন, যেহেতু তিনি সুনীল ছেত্রীকে আটকাচ্ছিলেন। কিন্তু লুনা ভেবেছিলেন রেফারি সকলকে সরে যেতে বলছিলেন। আর সেই সুযোগে ফ্রিকিক মেরে গোল করেন সুনীল।
এই নিয়ে এক সর্বভারতীয় মিডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের এক শীর্ষকর্তা বলেছেন, "রেফারির কোনও সিদ্ধান্ত বদলানো শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির এক্তিয়ারে পড়ে না। কেরালা ব্লাস্টার্সকে বলা হয়েছিল প্যানেলকে দেখাতে যে এই গোল না হওয়ার কোনও লিখিত নিয়ম আছে কিনা। কিন্তু আইএফএবি-এর নিয়মে রেফারির কোনও ভুল নেই।"
আইএফএবি-এর নিয়ম অনুযায়ী, যদি রেফারি বাঁশি বাজিয়ে খেলা পুনরায় চালু করতে চান, তাহলে সেটি অবশ্যই আক্রমণকারী দলকে জানিয়ে রাখতে হবে। যদি বাঁশি না বাজাতে চান, সেটি সম্পূর্ণ রেফারির সিদ্ধান্ত। এক্ষেত্রে ক্রিস্টাল জন বাঁশি বাজিয়ে খেলা চালানোর সিদ্ধান্ত নেননি, যার সুযোগে গোল করেন বেঙ্গালুরুর সুনীল।
এবার কেরালার মাঠ ছাড়া নিয়ে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন চার্জ নোটিস জারি করেছে, যা এআইএফএফ শৃঙ্খলারক্ষা কোডের ৫৮ নম্বর ধারা লঙ্ঘন করছে। ৫৮.১ ধারা অনুযায়ী, কেরালা ব্লাস্টার্স সর্বনিম্ন ৬ লক্ষ টাকা জরিমানা এবং সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে টুর্নামেন্ট থেকে নির্বাসিত হতে পারে। শেষ অবধি কি শাস্তি পেতে চলেছে কেরালা ব্লাস্টার্স, সেটি মঙ্গলবার জানা যাবে।