এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : এমন একপেশে ফাইনাল শেষ কোন আইপিএলে দেখা গিয়েছে, তা মনে করা কঠিন হবে। চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে দাপুটে ক্রিকেট খেলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে দুরমুশ করে তৃতীয়বারের জন্য আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হল কলকাতা নাইট রাইডার্স। 

মনে রাখতে হবে, এই হায়দরাবাদ দল গ্রুপ পর্বে তিনবার ২৫০+ স্কোর তুলেছিল, সেই দুর্ধর্ষ ব্যাটিং অর্ডারের সাথে রীতিমত ছেলেখেলা করল নাইট বোলাররা। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সানরাইজার্স অধিনায়ক প্যাট কামিন্স, তবে শ্রেয়াস আইয়ার টস হেরেও জানিয়েছিলেন, তিনি বল করতে চাইতেন।কেন তিনি প্রথমে বল করতে চাইতেন, তা বোঝা গেল প্রথম ইনিংসেই।

আরও পড়ুন - ইস্টবেঙ্গলে একপ্রকার নিশ্চিত হলেও দিমিত্রিয়স দিয়ামান্টাকোসকে নিয়ে নতুন করে বাড়ল জল্পনা

প্রথম ওভারে মিচেল স্টার্কের অনবদ্য ডেলিভারিতে আউট হন অভিষেক শর্মা। সেটাই যেন ফাইনালের ধারা বুঝিয়ে দিয়েছিল। একের পর এক হায়দরাবাদ ব্যাটার ক্রিজে আসছেন আর প্যাভিলিয়নে ফিরছেন। মাঝে এইডেন মার্করাম (২০) ও নীতিশ কুমার রেড্ডি (১১) পার্টনারশিপ গড়ার চেষ্টা করলেও তারাও আউট হন। শেষে অধিনায়ক প্যাট কামিন্স সর্বোচ্চ ২৪ রানের ইনিংস খেলে হায়দরাবাদকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচান। শেষ অবধি ১৮.৩ ওভারে ১১৩ রানে অল আউট হয়ে যায় সানরাইজার্স। 

নিঃসন্দেহে এবারের প্রতিযোগিতার সেরা পারফর্মেন্সটা ফাইনালের জন্যই তুলে রেখেছিল কলকাতার বোলাররা। মিচেল স্টার্ক তিন ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন। শেষের দিকে আন্দ্রে রাসেল এসে তিন উইকেট নিয়ে যান। এছাড়া দুটি উইকেট নেন বৈভব অরোরা। 

আরও পড়ুন - আইপিএল ফাইনালে গ্যালারিতে কি থাকবেন শাহরুখ খান? জানুন

মাত্র ১১৪ রান খুবই সহজ লক্ষ্য ছিল নাইট ব্যাটারদের জন্য। আর সেই লক্ষ্য তাড়াতাড়ি তুলে নেওয়ার লক্ষ্যে শুরু থেকেই মারকুটে ব্যাটিং করতে থাকে কলকাতা। শুরুতে সুনীল নারাইন আউট হলেও রহমানুল্লাহ গুরবাজ (৩৯) ও ভেঙ্কটেশ আইয়ার (অপরাজিত ৫২) কলকাতাকে জয়ের কাছে নিয়ে যান। শেষে নামেন অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ারও। ৫৭ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে জয় তুলে নেয় নাইটরা।

আর এর জেরে নিজেদের আইপিএল ইতিহাসে তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হল কলকাতা নাইট রাইডার্স। বলাই যায়, এই তিনবারের মধ্যে এবারের জয়টা সব থেকে দাপুটে, সব থেকে সেরা।