কলকাতা লিগে স্বর্ণময় যাত্রা, তবু আফসোস যাচ্ছেনা ভবানীপুর কোচ রঞ্জন চৌধুরীর

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্কঃ সদ্য কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। কিন্তু মহামেডানের জয়, যে খেলোয়াড় এবং প্রশিক্ষকদের দীর্ঘদিনের লড়াই ঢাকা পরে গেছে তারা হলেন ভবানীপুর দলের রঞ্জন চৌধুরী ও তার দল।
প্রথমে ১১ দলের দীর্ঘ লিগের বিজয়ী ভবানিপুর। এরপর সুপার ৬ তেও তারা তাদের সেরাটা দিয়ে হয়েছে রানার্স আপ। কলকাতা ফুটবলে ভবানিপুর ক্লাবের এমন চমকপ্রদ ফলাফল এই প্রথম। তবু আফসোস যাচ্ছেনা দলের প্রধান শিক্ষকের।
এতো কম সময় তুলনামূলক ছোট দল হয়ে এবং দলের বেশ কিছু ফুটবলারকে হারিয়েও শেষ ম্যাচ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গেছেন রঞ্জন চৌধুরী। সুপার ৬ এর শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আশা ছাড়েনি ভবানীপুর দল।
এতো প্রতিকুলতা সত্ত্বেও বাংলার তথাকথিত ছোট ক্লাবের এমন লড়াই অনেকদিন মনে থাকবে বাংলার ফুটবল ভক্তদের। ইস্টবেঙ্গল, মহামেডানের মতো ময়দানের শক্তিশালী দলগুলির বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে কলকাতা লিগ জয়ের প্রায় কাছে চলে আসা অবশ্যই প্রশংসনীয়।
লিগের চ্যাম্পিয়ন চূড়ান্ত হওয়ার পর এক্সট্রা টাইম বাংলার তরফে রঞ্জন চৌধুরীকে যোগাযোগ করা হলে তার গলায় ঝড়ে পরে হতাশা। কলকাতা ফুটবলের উন্নতির জন্য ভবিষ্যতে কি করা উচিত তাও জানিয়েছেন তিনি।
প্রথম লিগের শীর্ষে শেষ করা রঞ্জন চৌধুরী জানিয়েছেন, "ভবানিপুর ক্লাব বরাবরই ভালো দল তৈরি করে এবং লিগে তারা ভালো স্থানে শেষ করে। কিন্তু আজ আমাদের দল যে সাফল্য অর্জন করেছে তা ক্লাবের ইতিহাসে অন্যতম শ্রেষ্ঠ। বিশেষত কলকাতা প্রিমিয়ার ডিভিশনের প্রথম লিগে ১১টি দলের বড় লিগ হয়েছিল। সেখানে আমরা বড় মার্জিনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম।"
ভবানিপুর ক্লাবের ইতিহাসে এতো বড় সাফল্য এনে দেওয়ার পরেও রঞ্জন চৌধুরীর কথায় নেই কোনো অহংকারের ছোঁয়া। সহজ সরল উত্তরে তিনি এই সাফল্যের সকল কৃতিত্বই দিয়েছেন অন্যদের। তিনি বলেছেন, "একটি লিগে চ্যাম্পিয়ন, এই লিগে আমরা দ্বিতীয় স্থানে শেষ করলাম। এতো কম সময় এমন সাফল্যের কৃতিত্ব ভবানীপুর ক্লাবের খেলোয়াড়, কর্মকর্তা এবং যারা সাহায্য করেছেন তাদের সকলের।"
তবে লিগের ফর্ম্যাট নিয়ে তার রয়েছে প্রশ্ন। তিনি মনে করেছেন এই ফর্ম্যাট সঠিক নয়। রঞ্জন চৌধুরী জানিয়েছেন, "একটি দল ১৪টি ম্যাচ খেলে দ্বিতীয় হচ্ছে আরেকটি দল ৪ টি ম্যাচ খেলে বিজয়ী। আমি কাউকে দোষী বলছিনা কিন্তু এই সিস্টেমের জন্য আমার খেলোয়াড়দের ভুগতে হয়েছে৷ একই লিগে, একই স্ট্যাটাসে এক অসম প্রতিযোগিতা হয়েছে।"
তিনি আইএফএ কর্মসমিতির উদ্দেশ্যে বলেছেন, " আমি কাউকে কোনো দোষ দিচ্ছিনা। কিন্তু আগামীদিনের কথা ভেবে আইএফএর পদাধিকারী যারা আছেন তাদের লিগের সিস্টেম বদল করার কথা ভাবা উচিত।"
সবশেষে কলকাতা লিগ বিজয়ী মহামেডান দলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভবানীপুর প্রশিক্ষক রঞ্জন চৌধুরী।