ক্লেইটনকে কিভাবে আনল ইস্টবেঙ্গল, বিশ্বাসই করতে পারছেন না স্টিফেন কনস্টানটাইন

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : পরের রাউন্ডে না উঠলেও ডুরান্ড অভিযানের শেষটা দারুণভাবেই সম্পন্ন করল ইমামি ইস্টবেঙ্গল এফসি। মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে থ্রিলার ম্যাচে ৪-৩ গোলে হারাল ইস্টবেঙ্গল। এবং এই জয়ে স্বাভাবিকভাবে খুশি হেড কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন।
আর এই ম্যাচে যথার্থ নায়ক ক্লেইটন সিলভা। অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ড পড়ে গোটা ৯০ মিনিট দলকে নেতৃত্ব দিলেন, করলেন দুটি দর্শনীয় গোল। এবং ক্লেইটনের মত মানের ফুটবলারকে কিভাবে আনল ইস্টবেঙ্গল, সেটি বিশ্বাসই করতে পারছেন না কনস্টানটাইন।
ম্যাচের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্টিফেন বলেছেন, "ও একজন কোয়ালিটি ফুটবলার। আমি জানি না, ওকে কী ভাবে এই দলে আনতে পেরেছি। এই মরসুমে ওর থেকে আরও অনেক গোল দেখা বাকি আছে।"
এদিকে এই ম্যাচের অন্যতম নায়ক সুমিত পাসি। সমর্থকদের চক্ষুশূল থেকে জোড়া গোলের মালিক সুমিত, সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দেওয়ার পারফর্মেন্স করলেন তিনি। এই নিয়ে স্টিফেন বলেন, "সমালোচকরা কী বলল তা নিয়ে ভাবি না। এর আগে ও জাতীয় দলে খেলেছে। অনেকেই বোকার মতো বলেছিল, কেন সুমিত এই দলে আছে। ও দুর্দান্ত ফুটবলার। প্রথম ম্যাচে ও তিনটে জায়গায় খেলেছিল। ৯০ মিনিট যে ছেলেটা দৌড়ে যাচ্ছে, তাকে নিয়ে সমালোচনা ওঠে। এখন সবে শুরু।"
তবে চিন্তা রয়েছে আর এক ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড এলিয়ান্দ্রোকে নিয়ে। এবারের ডুরান্ডে সেভাবে ছন্দে দেখা যায়নি এই ব্রাজিলিয়ানকে। যদিও তার এই খারাপ পারফর্মেন্সের যুক্তিতে স্টিফেন বলেছেন, "৭ মাস ও ফুটবলের বাইরে ছিল। ও যখন খেলত, তখন স্ট্রাইকারের পিছনে উইথড্রল হিসেবে খেলত। ৭ মাস একজন ফুটবলার গোল ছাড়া রয়েছে। আমি জানি ওকে কী ভাবে তৈরি করতে হবে। সেটাই করছি। মানিয়ে নিতে ওর একটু সময় লাগবে। প্রত্যেকেরই সময় লাগে মানাতে। ভারতীয় ফুটবলারদেরই মানিয়ে নিতে সময় লাগে। ও তো বিদেশি। আমাদের একটু ধৈর্য ধরতে হবে।"
শেষে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের আশ্বস্ত করে স্টিফেন বলেছেন, "আমরা এ বার অনেক ভালো ফুটবল খেলব। অন্তত লিগ টেবিলের শেষের দিকে থাকব না।"
সব মিলিয়ে, স্টিফেন কনস্টানটাইনের হাতে এই মরশুম নিরাপদ থাকবে ইমামি ইস্টবেঙ্গল এফসি, সে বিষয়ে নিশ্চিত থাকতে পারেন সমর্থকরা।